তবে মামলায় নবীগঞ্জের ঘটনাটিকে মৌলভীবাজার জেলার শেরপুর এলাকায় দেখানো হয়েছে, যা সচেতন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। এ ঘটনায় পারকুল গ্রামের বাসিন্দা ও আউশকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি কয়ছর আহমদ বলেন, “এক জেলার ঘটনা অন্য জেলায় স্থানান্তর করা হয়েছে, যা আমরা মেনে নিতে পারছি না। এ ধরনের সাজানো মামলার প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
অন্যদিকে, মামলার আসামি হেলাল আহমদ দাবি করেন, “আমরা শেরপুর এলাকায় কোনো ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। মামলার বাদী ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের হয়রানি করছে। আমরা সঠিক তদন্তের দাবি জানাই।
মামলার বাদী যুবলীগ নেতা এমরান আলী বলেন, আমাকে প্রথমে নবীগঞ্জের বনগাঁও ও পাহাড়পুর এলাকায় মারধর করা হয়। পরে শেরপুর এলাকায় দ্বিতীয় দফায় মারধরের শিকার হই। তাই আমি শেরপুরের ঘটনায় মামলা করেছি। নবীগঞ্জের ঘটনায় আমি কোনো মামলা করিনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শিপু কুমার দাশ বলেন, বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের অভিযোগ পেয়ে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে এবং আসামি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলায় ঘটনাস্থল পরিবর্তন করা হয়ে থাকলে তদন্ত অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে, নবীগঞ্জ উপজেলার কুশিয়ারা নদী থেকে বৈধভাবে মহাসড়কের সিক্স লেন প্রকল্পে বালু সরবরাহের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু ছাত্রলীগ ইউনিয়নের এক সাবেক সভাপতির নেতৃত্বে একদল লোক ৭টি বালুভর্তি ট্রাক আটক করে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত ২ ফেব্রুয়ারি নবীগঞ্জ থানায় সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বালুভর্তি ট্রাক উদ্ধার করেছে।
জানা গেছে, মা এন্টারপ্রাইজ নামক একটি প্রতিষ্ঠান বৈধভাবে জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ থেকে কুশিয়ারা নদীর বালু উত্তোলন করে নবীগঞ্জ এলাকায় সরবরাহ করে আসছিল। কিন্তু গত রবিবার এক পক্ষ ট্রাকের চলাচলে বাধা দেয় এবং চাঁদা দাবি করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, বালু মহাল এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ সতর্ক রয়েছে। কোনো পক্ষ উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply