সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের ফুলতলী বাজারস্থ শাহ মুশকিল আহসান (র.) মাজারের নিকটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রায় দু ঘন্টা ব্যাপী উদ্বার অভিযান চলাকালে ঢাকা সিলেট মহাসড়ক যানচলাচল বন্ধ থাকে।
নিহতরা হলেন- গজনাইপুর ইউনিয়নের মুড়াউরা গ্রামের আবু তাহের স্ত্রী সামিরুন বেগম(২৮), মেয়ে মারিয়া আক্তার (২), আবু তাহেরের ভাই আনু মিয়ার স্ত্রী হালিমা বেগম (২৫), সাতাইহাল গ্রামের নুরুল ইসলামের পুত্র অন্তর মিয়া (২২), সাতাইহাল (কাজীপাড়া) গ্রামের লিজা আক্তার (১৯), দেবপাড়া ইউনিয়নের লতিবপুর গ্রামের কিতাব আলী (৩০), সাতাইহাল গ্রামের মৃত সুরত আলীর ছেলে লিটন মিয়া (১৮) ও অজ্ঞাত পুরুষ (২৬)।
জানা যায়, কুমিল্লাহ থেকে সিলেটগামী বিআরটিসি পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস ঢাকা মেট্রো-(ব-১১-৫৫১৮) পরিবহনের বাসের সাথে আউশকান্দি হতে পানিউমদা গামী যাত্রীবাহী সিএনজি (হবিগঞ্জ-থ ১১-৬৭৭৭) ও অজ্ঞাত সিএনজিসহ দুটি সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুটি সিএনজি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এবং একটি সিএনজিসহ বাস মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী গভীর খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে ৮ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বাসের যাত্রীসহ আহত হয়েছেন ১০জন।
আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা, শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ, গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ, নবীগঞ্জ ও শায়েস্তাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটসহ স্থানীয় জনসাধারণ উদ্ধার কাজ শুরু করে। প্রায় দুই ঘটনার প্রচেষ্ঠায় ৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল হক ভূইয়া দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
Leave a Reply