ছনি চৌধুরী:: কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি হওয়ায় বাঁধ উপচে বেশ কয়েকটি গ্রামে প্রবেশ করছে পানি। আতংক উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে সাধারণ মানুষের মনে । এরই মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম । হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানাযায়, শনিবার(১৩জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টায় নবীগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শনিবার সকাল ৯টা থেকে নবীগঞ্জের পারকুল এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ কুশিয়ারা ডাইকে মেরামতের কাজ পুনরায় শুরু করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড । পানি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে ইতোমধ্যে উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের দীঘলবাক,চরগাঁও, কসবা, কুমারকাঁদা, ফাদুল্লা,রাধাপুর, জামারগাঁও মথুরাপুর,গালিমপুরসহ বেশকিছু এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। বাড়ি-ঘরে পানি উঠায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন অনেকেই। যে কোনো মুহূর্তে কুশিয়ারা ডাইক ভেঙে যেতে পারে বলে আশংকা করছেন স্থানীয় লোকজন ।কুশিয়ারা ডাইক ভেঙে গেলে প্লাবিত হতে পারে বিবিয়ানা পাওয়ার প্ল্যান্ট। এমনটা আশংকা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।এদিকে ডাইকে ভাঙন দেখা দিলে নবীগঞ্জের দীঘলবাক ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। পানি দিন দিন বৃদ্ধি হওয়ায় আতঙ্কে রয়েছেন ওই এলাকার লোকজন। তাছাড়া ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামেও পানি প্রবেশ করেছে। স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার সাফু আলম জানান,শুক্রবার রাত থেকে মোস্তফাপুর,পাঠানহাটি,তপথিবাগ,দক্ষিণ গ্রামসহ কয়েকটি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। এ এলাকার মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছেন। দক্ষিণ গ্রামের চলাচলের রাস্তা ইতিমধ্যেই পানিতে তলিয়ে গেছে । তাছাড়া বক্তাপুর উমরপুর,প্রজাতপুর,লালাপুর,দিঘীরপাড় গ্রামেও পানি প্রবেশ করেছে। চলাচলের গ্রামীন রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় জনসাধারনকে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।
গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ-বিন হাসান কুশিয়ারা ডাইকসহ দীঘলবাক ইউনিয়নের বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ-বিন হাসান জানান, সময় যত যাচ্ছে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে । কয়েকটি গ্রামে অল্প পানি প্রবেশ করেছে,বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে দীঘলবাক এলাকাসহ আশপাশ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে উপজেলায় একটি কন্ট্রোল রুম খুলেছি। জরুরী প্রয়োজনে সার্বক্ষণিক হট লাইন নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারবেন পানিবন্দি লোকজন । হবিগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তাওহীদুল ইসলাম বলেন, সকাল সাড়ে ৯টায় কুশিয়ারা নদীর পানি বর্তমানে বিপদসীমার ৪২ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ কুশিয়ারা ডাইকে মেরামতের জন্য আমাদের লোকজন কাজ করছে। ভাঙন রোধে ইতোমধ্যে আমরা বাস্তা ফেলে ভাঙন টেকাতে জোরালো ভাবে কাজ করে যাচ্ছি । তিনি বলেন, সময় যত যাচ্ছে পানি বাড়ছে,আজ পানি কমার কোনো সম্ভবনা নেই ।
Leave a Reply