এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,শ্রীমঙ্গল উপজেলার রান্ধুবাপুর গ্রামের কৃতিশ বৈদ্যর পুত্র শ্রীকান্ত বৈদ্য(৩৪) বিগত প্রায় ১০/১২ বছর ধরে ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের নাদামপুর গ্রামের লন্ডন প্রবাসী মায়াজ উল্লার বান্দের বাজারস্থ্য বাসায় ভাড়া নিয়ে পরিবারসহ বসবাস করে আসছেন। পেশায় তিনি সেলুন ব্যবসায়ী। বান্দের বাজারেই তার ব্যবসা প্রতিষ্টান। অগ্নিকান্ডের সময় তার স্ত্রী সন্তান বাসায় ছিলেননা। সেও ছিল দোকানে।
গতকাল সন্ধা ৭ টার সময় বান্দের বাজারের লোকজন ওই বাসায় আগুন দেখতে পান। সাথে সাথে স্থানীয় লোকজন বালি পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। কিন্ত যথ সময় যায় আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকে। অবশেষে এলাকাসীর প্রচেষ্টায় প্রায় ১ ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্ত ঘরসহ কোন কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
আগন নিয়ন্ত্রণে আসার পর নবীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনা স্থলে ছুটে আসেন। তারাও আগুন নিভানোর কাজে অংশ নেন।
বান্দের বাজারে অবস্থানরত ডা: নিজামুল ইসলাম চৌধুরী বলেন এলাকাবাসীর আপ্রাণ প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল বাজারটি।
ক্ষতিগ্রস্ত শ্রীকান্ত বৈদ্য জানান,তার বিদেশ যাওয়ার তীল তীল করে জমানো তিন লক্ষ টাকা,স্বর্নালংকারসহ সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তাদের পরনের কাপড় ছাড়া অবশিষ্ট আর কিছুই রইলোনা। তিনি নিশ্ব হয়ে গেলেন বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শামসুদ্দিন খাঁন বলেন,খবর পেয় ঘটনা স্থলে যাই। আগুনে সম্পূর্ণ ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
নবীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান,খবর পেয়ে আমরা সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। বৈদ্যুতিক সক সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য,ইনাতগঞ্জ এলাকায় প্রায়ই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। কিন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার দুর নবীগঞ্জ শহর থেকে ফায়ার সার্ভিস আসার আগেই সব কিছু শেষ হয়ে যায়। এলাকাবাসী ইনাতগঞ্জে ফায়ার ষ্টেশন স্থাপনের জোর দাবি জানিয়েছেন।
Leave a Reply