জাবেদ তালুকদার ॥ নবীগঞ্জে শিশুদের মাছ ধরার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের করগাঁও ও সাকোয়া গ্রামবাসীর মধ্যে করগাঁও গ্রামের মধ্যবর্তী আমন ক্ষেতে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে ২ ঘন্টাব্যাপি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এতে উভয় পক্ষের শিশুসহ প্রায় অর্ধ-শতাধিক লোকজন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।
এদের মধ্যে গুরুত্বর আহত অবস্থায় ১০ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। এছাড়াও প্রায় ৮/১০টি বাড়ীঘর ভাংচুরের খবর পাওয়া গেছে।
জানা যায়, সাকোয়া গ্রামের বেনু মিয়ার পুত্র সমির ও করগাঁও গ্রামের নুরুল মিয়ার পুত্র টুটুল জনৈক ব্যাক্তির ফিসারীর পাশে একটি খালে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে গতকাল রবিবার বিকেলে দুই বাচ্চার মধ্যে হাতাহাতি হয়। এসময় করগাঁও গ্রামের জনৈক মুরুব্বী দুই বাচ্চার ঝগড়া মিমাংসা করতে গিয়ে সাকোয়া গ্রামের সমিরকে তাপ্পর মারেন। এ খবর সাকোয়া গ্রামের লোকজনের কাছে পৌছলে সাকোয়া গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে করগাঁও গ্রামবাসীর উপর হামলা করে।
করগাঁও গ্রামবাসী মজসিদের মাইকে হামলার খবর দিলে করগাঁও গ্রামবাসীর সাথে গুমগুমিয়ার গ্রামের লোকজন একসাথে ঝড়ো হয়ে পাল্টা হামলা চালায়। ২ ঘন্টাব্যাপি চলা এই সংঘর্ষে শিশুসহ প্রায় অর্ধশধাতিক লোক আহত হয়েছেন।
ঘটনার খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমেদ এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন আনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন, পরে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এসে ২ ঘন্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে নবীগঞ্জ- বাহুবল সার্কেলের এএসপি আবুল খায়ের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নবীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমদ বলেন, পুলিশ ২ঘন্টার চেষ্টায় সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রন করছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। উভয় গ্রামবাসীর সাথে সমঝোতার চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply