হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শাহ্ সুলতান আহমেদ জানান,গত বুধবার রাত প্রায় ৮টার দিকে তিনি তার ওয়ার্ডের দাউদ পুর গ্রামে আব্দুস শহিদের বাড়ী থেকে নাগরিক সেবামূলক কাজ শেষে বাড়ী ফিরছিলেন। পথিমধ্যে হাকানি নদীর ব্রীজের নিকটে পৌছলে পূর্ব পরিকল্পিত অনুযায়ী ওৎ পেতে থাকা একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা দা, রামদা ও লাটি দিয়ে তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়৷
এসময় সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সাংবাদিক সুলতানের মাথা ক্ষত-বিক্ষত হয়। সাথে সাথে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে হামলাকারীরা তাকে মৃত ভেবে দ্রুত ঘটনা স্থল ত্যাগ করে। এ সময় আশপাশের লোকজন ঘটনা স্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন৷ ।
এ খবর পেয়ে নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দসহ
প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ হাসপাতালে ছুটে যান। তারা এমন ন্যাক্কার জনক হামলার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে অভিলম্বে সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে প্রশাসনের নিকট গ্রেফতারের দাবি জানান।
খবর পেয়ে সন্ধায় নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন,উপজেলা সহকারী কমিশনার শাহীন দেলওয়ার,থানার ওসি ডালিম আহমেদ,উপজেলা স্বাস্থ্য প,প কর্মকর্তা ডা: আব্দুস সামাদ,উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্নসাধারন সম্পাদক কাজী ওবায়দুল কাদের হেলাল,উপজেলা চেয়ারম্যান সমিতির সাধারন সম্পাদক সৈয়দ খালেদুর রহমান খালেদ,করগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান নির্মুলেন্দু দাশ রানা,প্রেসক্লাব সভাপতি রাকিল হোসেন,সাবেক সভাপতি ফখরুল আহসান চৌধুরী, সাবেক সভাপতি সরোয়ার শিকদার,যুগ্নসাধারন সম্পাদক তৌহিদ চৌধুরী,প্রেসক্লাবের সাবেক সহ সভাপতি মুজিবুর রহমান, মানব কন্ঠ প্রতিনিধি মহিবুর রহমান, সাবেক যুগ্নসাধারন সম্পাদক শামীম আহমেদ,সাংবাদিক বুলবুল আহমেদ আহত সাংবাদিক শাহ্ সুলতানকে দেখতে হাসপাতালে যান।
এ সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ হামলার সাথে যে বা যারাই জড়িত তাদের দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক কঠোর আইনী ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।
Leave a Reply