নিজামুল ইসলাম চৌধুরী :: হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জে ১৩টি ইউনিয়নে বিচ্ছিন্ন দু একটি ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে একটানা ভোট গ্রহণ চলে।
সকাল ৮টা বাজার সাথে সাথে পুরুষ ও নারী ভোটাররা শতস্ফুর্তভাবে ভোট কেন্দ্রে আসতে শুরু করে করেন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোোটারদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। পুরুষের চেয়ে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। পাশাপাশি ছিল নতুন ভোটারদের উপস্থিতি। ভোট দিতে আসা সুলতানা ইয়াসমীন জানান,তিনি এবার নতুন ভোটার। ভোট দিতে পেরে তিনি খুশি।
এদিকে উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের নহরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওই ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মুকিত এর চশমা প্রতীকের ব্যালট ভুল বশত সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় চলে যায়। আর সেখানের ব্যালট পেপার আসে ওই কেন্দ্র। এ বিষয়টি ভোট শুরু হওয়ার সাথে সাথে ভোটাদের কাছে ধরা পড়ে। এ সংক্রান্ত জটিলতায় ভোট ত খন্টা পিছিয়ে বেলা ১১ টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। এটা ভুল ভুল বশত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রিজাইটিল অফিসার সাংবাদিকদের জানান।
তাছাড়া বাউশা ইউনিয়নে ১নং ওয়ার্ডে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া আর কোথায়ও বড় ধরনের কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট গ্রহনের জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে আনসার, পুলিশ ব্যাটালিয়ন আনসার র্যাব বিজিবিসহ বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়ন ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নেতৃত্বে জুডিসিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া র্যাব বিজিবি ও পুলিশের মোবাইল টিম স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করেছে। উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬২ জন, সংরক্ষিত সদস্য পদে ৪৭৪ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ২৪২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দেবশ্রী দাশ পার্লী বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে কঠোর নিরপাত্তা বলয় গড়ে তুলা হয়েছিল। ভোটারগণ নির্বিগ্নে ভোট দিয়েছেন। কোন সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply