পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়,গত সোমবার সন্ধায় উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামের কৃষক রশিদ মিয়ার ৩ বছরের শিশু সন্তান হামজাকে তার চাচাতো ভাই জুনেদ তার ঘরে ডেকে নেয়। কিছু সময় পর হামজাকে ঘরে না পেয়ে তার মা বাবা পাগলের মতো গ্রামের বিভন্ন স্থানে তাকে খুঁজতে থাকেন। কোথাও না পেয়ে পরে রাত প্রায় ৯টার দিকে জুনাইদ মিয়ার গাড়ির গ্যারেজ থেকে মুখবাধা অবস্থায় আমির হামজাকে পড়ে থাকতে দেখতে পান তারা।
এমনতাবস্থায় তার মা- বাবা সহ স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিকভাবে নবীগঞ্জ- বাহুবল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী, নবীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ আজিজুর রহমান, সেকেন্ড অফিসার এস.আই. সমীরন চন্দ্র দাশ সহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করেন।
ঘটনার পর স্থানীয় লোকজনের হামজার নিহত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে কথা হয় জুনাইদের সাথে। এ সময় জুনাইদের অসংলগ্ন কথাবার্তায় স্থানীয়দের কাছে ধরা পড়ে যায় জুনেদ।
পরে তাকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ- বাহুবল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরীর জানান, ঘটনার খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা ওসি সহ একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিকভাবে আমরা ধারনা করছি শিশু হামজাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে। হামজার চাচাতো ভাই জুনাইদকে সন্ধেহভাজন হিসাবে আটক করা হয়েছে।
এদিকে এ হত্যাকান্ড কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না নিহত হামজার মা- বাবা সহ এলাকাবাসী। তারা হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
Leave a Reply