নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ)থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা।।গৃহহীনমুক্ত হতে যাচ্ছে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলা।
মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে আশ্রয়ন -২ প্রকল্পের মাধ্যমে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ৩য় পর্যায়ের অবশিষ্ট ও ৪র্থ পর্যায়ে জমি ও গৃহ প্রদানের শুভ উদ্বোধন উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান শাহরীয়ার।
গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে হল রুমে অনুষ্টিত সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান শাহরীয়ার সাংবাদিকদের জানান, আগামী বুধবার (২২ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৪র্থ পর্যায়ের ২৭০টি ঘর উদ্বোধন করবেন। এরমধ্য দিয়ে নবীগঞ্জে হবে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত উপজেলা।উপজেলার গৃহহীনরা রয়েছেন সেই আনন্দঘন দিনের অপেক্ষায়।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ‘আশ্রয়ণের অধিকার. শেখ হাসিনার উপহার’ এ স্লোগানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির তালিকা অনুযায়ী হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ ‘ক শ্রেণি’ভুক্ত ভূমিহীন ও গৃহহীন ৮১৫টি পরিবারকে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছে নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন।
এরইমধ্যে ১ম পর্যায়ে ১১০টি, ২য় পর্যায়ে ৬০টি ও ৩য় পর্যায়ে ৩৫৫টি গৃহহীন পরিবারকে দুই শতাংশ জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। ৪র্থ পর্যায়ে আরও ২৭০টি ঘর আগামী ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন। সেদিনই ক শ্রেণির ২৭০টি পরিবারের মুখে হাসি ফুটবে। পাশাপাশি
ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত হবে নবীগঞ্জ উপজেলা।
তিনি জানান,দেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না— প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণা বাস্তবায়নে উপজেলায় দুই শতাংশ করে খাস জমি বন্দোবস্ত করে প্রান্তিক গৃহহীন পরিবারকে একক গৃহ নির্মাণের মাধ্যমে বরাদ্দ প্রদান করা হচ্ছে।
আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের সুপেয় খাবার পানি ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহানের নির্দেশনা ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে একক গৃহ নির্মাণ ও পরিকল্পনা সংক্রান্ত ম্যানুয়াল অনুসারে প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
নির্বাহী অফিসার ইমরান শাহরীয়ার আরো জানান, জাতির পিতা স্বপ্ন দেখতেন সোনার বাংলার প্রতিটি মানুষ খুঁজে পাবে নিরাপদ আশ্রয়। আশ্রয়ণ প্রকল্প যেন সেই নিরাপদ আশ্রয়ের চূড়ান্ত বাস্তবায়ন। সারা দেশের মতো নবীগঞ্জে আশ্রয়ণের ঘর পাবে ২৭০টি পরিবার। তাদের দুই শতাংশ জমির মালিকানা সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র ওইদিন বুঝিয়ে দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর মমতামাখা এ প্রকল্প আজ হাসি ফোটাচ্ছে লাখো মানুষের মুখে।
আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পাওয়া উপকারভোগীদের সাথে কথা বলে জানাযায়, ঘর পাওয়ার আগে তারা অনেকেই অনাহারে-অর্ধাহারে দিনযাপন করতেন। প্রধানমন্ত্রী তাদের জন্যে নতুন ঘরের ব্যবস্থা করেছেন, শিখিয়েছেন নতুন করে বাঁচতে। অনেকেই ঘরের আঙিনায় শাকসবজির চাষাবাদ করছেন। কেউ কেউ হাঁস-মুরগি পালনের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করছেন। এসব মানুষের মুখে হাসিই জানান দেয় তারা ভালো আছেন; কষ্টের দিনগুলো পার করে এসেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন দেলোয়ার,
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগম,
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: তাজ উদ্দিন, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রাকিল হোসেন উত্তম কুমার পাল হিমেল,সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো:সেলিম মিয়া তালুকদার , চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব, নির্মুলেন্দু দাশ রানা,রঙ্গ লাল দাশ,
মানবকন্ঠের নবীগঞ্জ প্রতিনিধি মোহাম্মদ মুহিবুর রহমান, পজিপ কর্মকর্তা শাকিল আহমদ,বিজনেস বাংলাদেশ প্রতিনিধি ফুয়াদ হাসন রাজন, অঞ্জন রায় প্রমুখ।
Leave a Reply