-
- জাতীয়
- নবীগঞ্জ ও জগন্নাথপুর দু’উপজেলা রণক্ষেত্র।। আহত শতাধীক।। ১০ জনকে ওসমানীতে প্রেরণ
- আপডেট টাইম : July, 12, 2022, 2:04 pm
- 190 বার
নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ)থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের উমরপুর ও জগন্নাথপুর উপজেলার গোতগাঁও গ্রামবাসীর মধ্য রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের শতাধীক লোক আহত হয়েছে। গুরতর আহত উমরপুর গ্রামের জীবন মিয়া(৩৫), মন্নান মিয়া(২৩) ও গোতগাঁও গ্রামের রয়েল মিয়া(২৫)সহ ১০জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য আহতদের জগন্নাথপুর, নবীগঞ্জ হাসপাতাল ও ইনাতগঞ্জে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায় ইনাতগঞ্জ পূর্ব বাজারের পার্শ্ববর্তী জগন্নাথপুর উপজেলার গোতগাঁও গ্রামের লন্ডন প্রবাসী শাহীন আলমের মালিকানাধীন গোতগাঁও গ্রামের পাশে মা ফাতেমা( রা) মাদ্রাসা রয়েছ। মাদ্রাসার সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন ইনাতগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী হাজী হেলিম উদ্দিন।
পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে প্রতি বছর মাদ্রাসার প্রতিষ্টাতা শাহীন আহমেদের উদ্যোগে উক্ত মাদ্রাসায় প্রায় ৭০/৮০টা গরু কোরবানী করে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত রোববার পবিত ঈদুল অযহা পালিত হলেও গত সোমবার মাদ্রাসা মাঠে হাজী সেলিম উদ্দিন ও কামাল চৌধুরীর নেতৃত্বে ৫০ টি গরু কোরবানী করা হয়।
মাদ্রাসা সভাপতি হাজী হেলিম উদ্দিন মাংস পাহাড়ার জন্য নিযুক্ত করেন ইনাতগঞ্জের উমরপুর গ্রামের তপন মিয়াকে। গরু কোরবানীর পর মাদ্রাসা কমিটির সিদ্ধান্তে গরুর পা,মাথা,ভরল,চড়া দামে বিক্রি শুরু হয়। এ সময় গোতগাঁও গ্রামের রয়েল বলেন এটা গরীবের হক। আমাদের গ্রামের মাদ্রাসা। গ্রামে অনেক গরীব লোক রয়েছেন তাদের মধ্যে বন্ঠন না করে বিক্রি করা দু: খজনক। এ সময় উমরপুর গ্রামের তপন মিয়ার সাথে রয়েলের বাকবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে ইনাতগঞ্জ পূর্ব বাজারে দুই গ্রামের মানুষ জড়ো হতে থাকেন। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠে। শুরু হয় তুমুল সংঘর্য। প্রায় ৪ ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে।
সংঘর্ষে উমরপুর গ্রামবাসী পিছু হঠলে গোতগাঁও গ্রামবাসী উমরপুর গ্রামে হামলা চালিয়ে বাড়ীঘর ভাংচুর লুটপাটসহ মহিলাদের মারপিট করে। খবর পেয়ে ইনাতগঞ্জের দিঘিরপাড় গ্রামবাসী উমরপুর গ্রামের পক্ষে অবস্থান নিলে গোতগাঁও পিছুহটে। খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ সহকারী পুলিশ সুপার শুভাশীষ ধর ও ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। বর্তমানে নবীগঞ্জ ও জগন্নাথপুর দুই উপজেলার লোকদের মধ্য থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের আহত কয়েকজন হলেন দুলন মিয়া,তামীম আহমেদ,সুৃন মিয়া,রাসেল আহমেদ,আব্দুল জলিল,সফি আহমেদ,আব্দুল হাফিজ,হাসান আলী,সূর্যবান বিবি,শুকর আলী,আব্দুল খালিছ,আফসর উদ্দিন,আব্দুল করিম প্রমূখ। অন্য আহতদের নাম জানা যায়নি।
ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদ আহমেদ জিহাদী বলেন,কোরবানীর গরুর মাংস খাওয়া গরীবের হক। মাংস পাচারসহ গরুর বিভিন্ন অঙ্গ বিক্রি দু:খজনক।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) ডালিম আহমেদ বলেন,বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তামিজানুর রহমান জানান,গরুর মাংস বন্ঠন নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ব্যাপারে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply