নবীগঞ্জ পৌরসভায় ৭দিন ধরে ঝুলছে তালা ॥বাড়ছে নাগরিক দুর্ভোগ

এটিএম সালাম::নবীগঞ্জ   পৌরসভায়   গত   সাত   দিন   ধরে   দাপ্তরিক   ও   সেবাকার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। পৌরসভা কার্যালয়ে ঝুলছে তালা। ফলেভোগান্তিতে   পড়েছেন   পৌরসভার   বাসিন্দারা।   পৌরসভারকার্যক্রম   বন্ধ   রেখে   গত   ১৪   জুলাই   রবিবার   থেকে   জাতীয়প্রেসক্লাবের   সামনে   অবস্থান   কর্মসূচি   পালন   করছেনপৌরসভার   কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।   তাদের   একটাই   দাবি,রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে পেনশনসহ বেতন-ভাতা দিতে হবে।এ অবস্থায় সেবা গ্রহীতারা এসে ফিরে যাচ্ছেন। দিনের পরদিন   পৌরসভা   বন্ধ   থাকায়   নাগরিকদের   চরম   দুর্ভোগপোহাতে হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতন-ভাতাসহ  অন্যান্য দাবিতেপৌরসভা   কর্মকর্তা-কর্মচারীদের   ঢাকায়   একটানাঅবস্থান   কর্মসূচির   কারণে   সারা   দেশের   ন্যায়   নবীগঞ্জপৌরসভায় তালা দেয়া হয়েছে। এছাড়া   মেয়র,   কাউন্সিলর   ও   কর্মকর্তাদের  প্রতিটি   কক্ষেওঝুলছে   তালা।   পৌর   কর্মকর্তা   ও   কর্মচারীরা   আন্দোলনেথাকার   কারণে   ময়লা-আবর্জনা   রাস্তায়   পড়ে   আছে।   ফলেদুর্গন্ধে   শহরের   পরিবেশ   বিপন্ন   হয়ে   পড়েছে।   পৌরসভা
ভবনের   বাইরে   ময়লা-আবর্জনা   পরিষ্কার   করার   গাড়িগুলোদাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। অনেক এলাকায় ড্রেন পরিষ্কারনা থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।বন্ধ হয়ে পড়ে আছে সড়ক নির্মাণ ও সংস্কার কাজ। চাকরি,জমির খাজনা, লাইসেন্স, টীকাদান, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা,সন্তানের জন্মসনদসহ বিভিন্ন সনদ এবং পৌরসেবা থেকেবঞ্চিত হয়ে আছেন পৌরসভার নাগরিক। এমনকি   গত   ১৪   জুলাই   রবিবার   থেকে   রাতে   শহরেরসড়কবাতিও বন্ধ রয়েছে বলে নাগরিকরা অভিযোগ করছেন।এতে শহরে ভুতুরে পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।পৌরসভা   সার্ভিস   অ্যাসোসিয়েশন   নবীগঞ্জ   শাখারসভাপতি   শহিদুল   হক   জানান,   দাবি   আদায়ে   আমরাসরকারকে আগেই জানিয়েছি।
কিন্তু কোন কার্যকর পদক্ষেপনা নেওয়ায় আমরা বাধ্য হয়ে ঢাকায় অবস্থান নিয়েছি।কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল আলীমের নেতৃত্বে দাবি আদায়না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।নবীগঞ্জ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী ভবি মজুমদার বলেন,পৌর কর্মকর্তাদের নিয়োগ, বদলি ও শাস্তি দেয় সরকার,আর বেতন দেয় পৌরসভা। এভাবে চলতে পারে না। তার দাবি,সরকারি   কর্মচারী   হয়েও   তারা   আর্থিক,   সামাজিকনিরাত্তাহীনতায়   ভুগছেন।   রাষ্ট্রীয়   কোষাগার   থেকেকর্মকর্তা-কর্মচারীদের   শতভাগ   বেতন-ভাতাসহ   পেনশনচালু   না   হওয়া   পর্যন্ত   আন্দোলন   চলবে।   নাগরিকরাআন্দোলনের   পাশাপাশি   জরুরী   নাগরিক   সেবা   নিশ্চিতকরার আহ্বান জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা