নোয়াখালী থেকে নবীন::নোয়াখালীর মাইজদী শহরে চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্রী তাবাস্সুম তানিয়া চমক (২২) হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। তার মা শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে ছোট বোন তাসনিম তাহসিন চাঁদনী। জেলা পুলিশের এক প্রেসব্রিফিংয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রথমে চড়-থাপ্পড়, পরে গলায় উড়না পেঁছিয়ে নিজ মেয়েকে হত্যা করেছে মা। নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে কলেজ ছাত্রী তাবাস্সুম তানিয়া চমক হত্যার রহস্য উন্মোচন করতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ। শনিবার তাঁর নিজ সভাকক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার।
পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ বলেন, তাপস নামে চমকের হিন্দু এক সহপাঠির সঙ্গে সম্পর্কের জের ধরে গত ১১ নভেম্বর মা সাজেদা আক্তার নিপু তাকে প্রথমে মারধর করে। পরে ছোট বোন চাঁদনীর গলায় থাকা উড়না নিয়ে চমকের গলায় পেছিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মা। এক পর্যায়ে নিহতের মামা জাহিদুল ইসলাম সোহেলের সহযোগিতায় চমকের মরদেহটি ঘরের পাশের ডোবার নিচে পূঁতে রাখেন। আর এ চিত্র চাক্ষুস করেন নিহতের ছোট বোন চাঁদনী।
পুলিশ সুপার জানান, হত্যাকান্ডের পুরো বিষয়টি গোপন রেখে নিখোজের বিষয়টি সাজানো হয় এবং ঘটনার দিন রাতেই চমকের মা সাজেদা আক্তার নিপু সুধারাম থানায় সাধারণ ডায়রি করেন। তাবাস্সুম তানিয়া চমক সোনাপুর কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলো।
এই ঘটনায় মা, ছোট বোন ও মামাকে আটক করেছে পুলিশ। এরপর গোয়েন্দা পুলিশে জিজ্ঞাসাবাদে তানিয়ার ছোট বোন তাসনিম তাহসিন চাঁদনী জানায় তার মা তানিয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ গুম করে। জেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো: শয়েব উদ্দিন খাঁন এই ঘটনায় চাঁদনীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। মা ও মামাকে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য ১৫ নভেম্বর দুপুরের দিকে স্থানীয় লোকজন দুর্গন্ধ পেয়ে খুঁজতে থাকলে চমকের মরদেহটি নিজ বাসার পার্শ্ববর্তী ডোবায় ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ও টহলে থাকা র্যাব সদস্যরা এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
Leave a Reply