মঙ্গলবার বিকেল শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। অসুস্থ শিক্ষার্থীদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। তবে তারা সবাই প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রবাসী রাতুল জাহাজমারা ইউনিয়নের আবুল কালামের ছেলে।
জানা গেছে, গত ৯ মার্চ সোমবার বিকেলে কাতার থেকে বাংলাদেশে আসে রাতুল। তিনি কাতারে থাকার সময় দীর্ঘ ১৫ দিন ধরে জ্বর ও কাশিতে ভুগছেন।
মঙ্গলবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার উপসর্গগুলো দেখে করোনা সন্দেহে তাকে নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকার অনুরোধ করেন।
হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মোহাম্মদ ইউছুফ জানান, সকালে রাতুলের ভগ্নিপতি আব্দুর রহিম তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার জ্বর, গলা ব্যাথা, কাশি ও মাথা ব্যাথা এসব উপসর্গ দেখে সন্দেহ হওয়ায় কাতার প্রবাসী রাতুলকে নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। তার ভগ্নিপতি রহিমকেও কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিকে মঙ্গলবার একলাশপুর ইউনিয়নের আটবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২-৩ জন শিক্ষার্থী জ্বর ও কাশি নিয়ে বিদ্যালয়ে আসে। এর কিছুক্ষণ পর বিদ্যালয়ে পাঠদান চলাকালে আরো কয়েকজনসহ মোট ২৪ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের সহযোগিতায় বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষের মধ্যে তাদের আইসোলেসন করে রাখার কয়েক ঘন্টা পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অসিম কুমার দাস বলেন, অসুস্থ শিক্ষার্থীদের কয়েক ঘন্টা আইসোলেসনে রাখা হয়েছিল। বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর শরীরে জ্বর রয়েছে। অসুস্থ শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাদের পরিবারের সদস্যদের কিছু দিক নির্দেশনা দিয়ে শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া পরিবর্তন বা গণহিস্টিরিয়া (আতঙ্কজনিত রোগ) কারণে তারা অসুস্থ হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস বলেন, হাতিয়ার প্রবাসী রাতুলকে পরীক্ষা করা ছাড়া এখনো কিছু বলা যাচ্ছেনা। যেহেতু তিনি কাতারে থাকাকালিন দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ তাই বিষয়টি নিয়ে আইইডিসিআর যোগাযোগ করা হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ থাকায় আপাতত তাকে তার বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ১৪দিন পর তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হবে।
Leave a Reply