বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অসীম কুমার দাস বলেন, গত ৬ মে সকালে হাসপাতালে নমুনা দিয়ে যায় ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী তারেক হোসেন। ওইদিন সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি। মৃত তারেকের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
এছাড়া হাজীপুরের একজন, কিছমত করিমপুরের একজন, লক্ষীনারায়ণপুরের , নারী দুইজন, চৌমুহনী বাজারের ফেনী রোডের একজন, মীরওয়ারিশপুরের একজন ও চৌমুহনী পৌরসভার উত্তর নাজিরপুর গ্রামের এক ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে চৌমুহনী বাজারের কাপড় ব্যবসায়ীসহ দুইজন ব্যবসায়ী রয়েছেন। আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করে তাদেরকে হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রিয়াজ উদ্দিন জানান, গত ৩ মে পাঠানো নমুনায় তিন শিশু ও দুই নারীর করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে দেওটি এলাকার (৫৫), (২৩) ও (১০) বছরের এক শিশু রয়েছে। অপর দুই শিশু নদনা এলাকার (১২) ও (২)। আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করে তাদেরকে হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, গত ৩ মে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ২০ বছর বয়সী ওই যুবক নমুনা দিয়েছিল। বর্তমানে তার করোনা শনাক্ত হয়েছে। সে জেলা শহরের হাসপাতাল রোডের বাসিন্দা। তার বাসা লকডাউন করে তাকে আইসোলেশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সিভিল সার্জন ডা: মো. মোমিনুর রহমান বলেন, গত ৩, ৬ ও ৭ মে পাঠানো নমুনাগুলোর মধ্যে জেলার সদরে ১, বেগমগঞ্জে ৮ ও সোনাইমুড়ী উপজেলায় ৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, জেলায় মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ জন। যার মধ্যে জেলার বেগমগঞ্জে ২০ জন, সদরে ৭ জন, সোনাইমুড়ীতে ৯ জন, হাতিয়ায় ৫ জন, সেনবাগে ১ জন, কবিরহাটে ২ জন, চাটখিলে ৩ জন ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ১ জন। এদের মধ্যে মারা গেছেন সোনাইমুড়ীতে মোরশেদ আলম (৪৫) নামে এক ইতালি প্রবাসী, সেনবাগে এক রাজমেস্ত্রী মো. আক্কাস (৪৮) ও বেগমগঞ্জে তারেক হোসেন (৩০) নামের এক ব্যবসায়ী। সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন সোনাইমুড়ীতে মৃত ইতালী প্রবাসীর স্ত্রী, চৌমুহনী চৌরাস্তার আপন নিবাসের এক নারী ও তার ছেলে।
Leave a Reply