নবীন,নোয়াখালী প্রতিনিধি : লক্ষীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার ইসলামী ফাউন্ডেশনের (ইফা) কর্মকর্তা হোসাইন মাহমুদের (৪৫) শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে করোনার উপসর্গ নিয়ে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। নিহতের পরিবারের দাবী হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা না পেয়ে শ্বাসকষ্ট নিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে, পাঁচ দিন পরও তার করোনা টেস্ট পরীক্ষার ফল না আসায় তাকে করোনা হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া যায়নি। নিহতের চাচা ফখরুল ইসলাম জানান, তার ভাতিজা লক্ষীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের রামগতি ও কমলনগর উপজেলার গণশিক্ষা সুপারভাইজার। গত কয়েকদিন থেকে তাঁর জ্বর ও শ্বাসকষ্ট থাকায় গত ১০ জুন তাকে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগের দিন তাঁর করোনাভাইরাসের সংক্রমন আছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য টেস্ট নেওয়া হয়। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তাঁর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় পরদিন তাকে আইসোলেশানে রাখা হয়। কিন্তু তাকে সেখানে যথাযথ সেবা দেওয়া হয়নি, তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় প্রয়োজনীয় অক্সিজেন ও দেওয়া হয়নি। অপরদিকে, ৫ দিন পরও করোনা ভাইরাস আক্রান্ত কিনা তাও টেস্টের রেজাল্ট পাননি, অথচ জেলার দুটি স্থানে এর পরীক্ষা হচ্ছে। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাক্তার সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানান, অবহেলা হয়নি তবে হাসপাতালের ৪৪ টি অক্স্রিজেন কেভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় আমাদের অক্সিজেন সংকট। তারপরও ওনাকে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়া হয়েছে। আর করোনা সংক্রমিত কিনা তার রিপোর্ট না আসায় তাকে কেভিড হাসপাতালে রেফার করা হয়নি।
Leave a Reply