নোয়াখালী থেকে নবীন::নোয়াখালী সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের পূর্ব শুল্লকিয়া গ্রামে পারভীন আক্তার ফাহিমা (১৭) নামে এক কিশোরীকে জবাই করে হত্যা মামলায় প্রধান আসামী মো: শেখ সেলিম (৩০) রোববার বিকেলে নোয়াখালী ১নং আমলী আদালতে শিকারোক্তি মূলক জবান বন্দি দেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো: শোয়েব উদ্দিন ১৬৪ জবান বন্দি রেকর্ড করেন।
নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর সহকারী পুলিশ সুপার বসু দত্ত চাকমা জানান, পারভীন আক্তার ফাহিমা (১৭) নামে এক কিশোরীকে জবাই করে হত্যা মামলায় প্রধান আসামী মো: শেখ সেলিম (৩০) সেচ্ছায় আদালতে জবান বন্দি দিতে চাইলে আদালতে নেওয় হয়। রোববার বিকেলে নোয়াখালী ১নং আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো: শোয়েব উদ্দিন শিকারোক্তি মূলক জবান বন্দি রেকর্ড করেন।
গেপ্তারকৃত মো: শেখ সেলিম (৩০) নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ডিগ্রির চর গ্রামের শুক্কুর আলী শেখের ছেলে। শুক্রবার রাত একটার দিকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর একটি দল চট্টগ্রামের চাটগাঁও থানার মৌলভী পুকুরপাড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
উল্লেখ্য, নিহত পারভীন আক্তার ফাহিমা ও শেখ সেলিম চট্টগ্রামের একটি পোষাক কারখানায় কাজ করতেন। গত রমজানের তিনদিন আগে তারা বিয়ে করে এবং এরপর দুই মাস ঢাকায় থাকে। সেলিম এর আগেও আরো এক বিয়ে করেন এবং তার একটি সন্তান রয়েছে জানান পর ফাহিমা তাকে ছেড়ে নিজ বাড়িতে চলে আসেন। মাঝে মধ্যে মুঠোফোনে তাদের দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হতো। বাড়িতে আসার পর ফাহিমা পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে বলে তথ্য দেয় সেলিম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার সেলিম নোয়াখালী আসে। জেলা সদরের সোনাপুর থেকে দুইশ টাকায় একটি ধারালো চুরি কিনে নেয় সে। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মুঠোফোনে বাড়ির পাশে ঝোঁপের মধ্যে পারভীন আক্তার ফাহিমা ডেকে নেয় সে। এরপর কথা কাটকাটির এক পর্যায়ে পেছন দিক থেকে ফাহিমাকে ধারালো চুরি দিয়ে গলাকেটে তাকে হত্যা করে সে। হত্যার পর তার হাত চায়ের রগ সহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ কেটে ক্ষতবিক্ষত করে আবার চট্টগ্রাম ফিরে যায় সে। যাওয়ার সময় ফাহিমার ব্যবহৃত মুঠোফোন সাথে করে নিয়ে যায় এবং সিম পরিবর্তন করে ব্যবহার করে। পরে তার বিবস্ত্র ও ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় তার পেটে বিদ্ধ অবস্থায় একটি চুরি উদ্ধার করে পুলিশ।
Leave a Reply