নোয়াখালী প্রতিনিধি::নোয়াখালীতে স্বামী সন্তানকে বেঁধে রেখে একের পর এক ঘটছে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটছে, গত ১মাস ৪ দিনে সুবর্ণচর উপজেলা, কবির হাট উপজেলা ও হাতিয়া উপজেলায় গণধর্ষণের ৬টি ঘটনায় উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থী ,অভিবাবক ও নারীরা। এ সকল ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করে যথাযত ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানান নোয়াখালী ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার।
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় স্বামী সন্তানকে বেঁধে রেখে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন রাতে চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্য বাগ্যা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। গুরুতর অবস্থায় ওই নারী ও তাঁর স্বামীকে ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দেশ ব্যাপী আলোচিত এ ঘটনায় মানবাধিকার কমিশন সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারা হাসপাতালে ভিকটিমকে দেখতে আসেন।
অপর দিকে ৩ রা জানুয়ারী বৃহস্প্রতিবার রাতে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্নদ্বীপ হাতিয়ায় ফের কিশোরী (১৬) গণধর্ষনের ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত তিন জন কে গ্রেফতার করেছে । উপজেলার চরইশ্বর ইউনিয়নের পুর্ব লক্ষ্মীদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে কিশোরী মাতা সামছুর নাহার বাদী হয়ে পাঁচ জনকে বিবাদী করে হাতিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। ভিকটিম চট্ট্রগ্রাম থাকতো। বাড়ীতে আসার পর এ ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে ১৮ জানুয়ারী শুক্রবার মধ্যরাতে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নবগ্রামে তিন সন্তানের জননীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নোয়াখালী ডিবি পুলিশ ৫জনকে গেফতার করেছে।
৩১ জানুয়ারী রাতে নোয়াখালীর সুবর্নচর উপজেলায় পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নে এবার ৬ষ্ঠ শ্রেনীর এক স্কুলছাত্রীকে (১৩) ধর্ষনের ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ভিকটিমের মা-কে হাতিয়া যাওয়ার জন্য গাড়ীতে উঠিয়ে দিয়ে সিএনজি যোগে ফেরার পথে সিএনজি চালক সহ ২জন তাকে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষন করে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ ছাড়া ২৮জানুয়ারি সোমবার রাত ২টায় উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ নগর গ্রামের একটি ভাড়া বাসায় ঘুমন্ত শিশু(১৪)কে ধর্ষনের চেষ্টা কালে একজনকে আটক করে পুলিশ ।
সর্বশেষ নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে একটি বাসায় ১৭ বছরের এক গৃহপরিচারিকাকে বাসায় কাজ করার কথা বলে এনে ৪মাস থেকে অসামাজিক কাজে বাধ্য করার চেষ্টা করে । ভিকটিম রাজী না হওয়ায় তার উপর দপায় দপায় চলে অমানুষিক নির্যাতন। পরে তাকে চট্ট্রগ্রামের কালুর ঘাট এলাকায় ব্রিজের নীছে ফেলে আসে । ৪ ঠা ফ্রেব্রুয়ারী সন্ধায় খবর পেয়ে স্জনরা উদ্ধার করে নিয়ে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে । এঘটনায় সুধারাম থানা পুলিশ ২ নারী সহ ৫জনকে গ্রেফতার করেছে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম জানন, যদি কেউ এসকল ঘটনা নিয়ে আসলে আমরা তাৎক্ষনিক ভাবে মেডিকেল পরীক্ষা শেষে রিপোর্ট পাঠানোর ব্যাবস্থা গ্রহন করি।
ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মাহমুদ নাসের জনি জানান, নির্বাচনের পর যে সকল ঘটনা ঘটেছে, তা বড় ঘটনা হলে ও আমাদের পুলিশ সুপার ও ডিআইজি মহোদয়ের সঠিক নির্দেশনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে আমরা সক্ষম হয়েছি।
Leave a Reply