নবীন, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃনোয়াখালীতে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস পরীক্ষায় প্রস্তুত আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ। কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছে, শুধুমাত্র আরটি-পিসিআর মেশিন ও কীটসহ কিছু ল্যাবসামগ্রী পেলেই তাদের দক্ষ জনবল দিয়ে কোভিড-১৯ পরীক্ষা শুরু করতে প্রস্তুত তারা।
এদিকে প্রবাসী অধ্যুষিত নোয়াখালী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার লাখো মানুষ করোনা আতঙ্কে আতঙ্কিত। অথচ জেলার কোথাও সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়ে নেই করোনা পরীক্ষার সুযোগ। এমন অবস্থায় আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজে করোনা পরীক্ষার ল্যাব স্থাপনের দাবী জেলার সকল শ্রেণী পেশার মানুষের। বিষয়টি দ্রুত উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস।
নোয়াখালী জেলা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) সভাপতি ডা. ফজলে এলাহী খান বলেন, নোয়াখালীর প্রায় আড়াই লাখ মানুষ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যখন করোনাভাইরাস মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে, ঠিক তখনই অনেক প্রবাসীই পাড়ি জমিয়েছেন নিজ দেশে। করোনা পরীক্ষায় কোন প্রকার ল্যাব বা ভেন্টিলেটর এ জেলার কোন হাসপাতালে নেই। তাই আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিষয়টি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সরকারি হিসেবে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রায় ১৮ হাজার এবং শুধু মার্চ মাসেই প্রায় ৮ হাজারেরও বেশি প্রবাসী নোয়াখালীতে প্রবেশ করেন। এদের বেশিরভাগই ইতালিসহ মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী। এমন অবস্থায় আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে জেলার মানুষ। সরকারিভাবে কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিলেও অনেকে জনসম্মুখে এসে যত্রতত্র বিচরণ করেছে। ফলে দিন যত যাচ্ছে আতঙ্ক ততই বাড়ছে।
আর এ ভাইরাস পরীক্ষার সুযোগ নেই বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার কোথাও। এমন অবস্থায় জেলার বেগমগঞ্জে অবস্থিত আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজে দ্রুত করোনাভাইরাস পরীক্ষার ব্যবস্থা করার দাবি সর্বস্তরের মানুষের। এখানে ল্যাব স্থাপন হলে নোয়াখালী ছাড়াও লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও কুমিল্লাসহ অন্তত আরো ৫টি জেলার মানুষ ভাইরাস পরীক্ষা করাতে পারবে।
এ ব্যাপারে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস জানান, বৃহৎ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবার কথা বিবেচনা করে ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে
করোনা পরীক্ষায় ল্যাব স্থাপনের বিষয়ে কথাবার্তা চলছে। বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অবগত আছেন।
Leave a Reply