নবীন, নোয়াখালী প্রতিনিধি :: নোয়াখালীর মাইজদী শহরের হাসপাতাল রোড এলাকার মুন হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার রাতে ভুল চিকিৎসার কারণে এ মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তারকে আটক করে থানায় নেয়ার পর গভীর রাতে পুলিশ তাকে ছেড়ে দিয়েছে বলে জানা গেছে।
মৃত নাজমা আক্তার (২৫) সদর উপজেলার ১ নম্বর চরমটুয়া ইউনিয়নের ধর্মপুর উদয় সাধুরহাট এলাকার সৌদি প্রবাসী মো: আবদুল্লাহর স্ত্রী।
গৃহবধূ নাজমার ভাই অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন জানান, তিন বছর আগে নাজমা একটি সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হলে তার হাত ও পা ভেঙে যায়। ওই দুর্ঘটনার তার এক সন্তানও নিহত হয়। তখন তার হাত-পায়ের ভাঙা স্থানে চিকিৎসক রড ব্যবহার করেন। কিছু দিন আগে তিনি এ নিয়ে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করলে তাকে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেয়া হয়।
একপর্যায়ে তার দেবর রহমানকে সাথে নিয়ে শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে দালাল মামুনের মাধ্যমে তিনি মুন হাসপাতালে ভর্তি হন। অর্থোপেডিক চিকিৎসক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বিল্লাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে নাজমার অস্ত্রোপচারের সময় নির্ধারণ করেন। তখান অপারেশন থিয়েটারে কর্তব্যরত অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক আশিস কুমার দেবনাথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নাজমাকে অজ্ঞান করেন। এরপর নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা আগে তড়িঘড়ি করে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাকে অপারেশ থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। অপারেশনের একপর্যায়ে নাজমার জ্ঞান ফিরে এলে তিনি অপারেশন থিয়েটারেই মারা যান।
মুন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শহীদুল ইসলাম সায়েদ এ অভিযোগটি অস্বীকার করে বলেছেন, গৃহবধূর স্বজনেরা চার হাজার টাকা ভাড়ায় শুধু আমাদের অপারেশন থিয়েটারটা ব্যবহার করেছেন। আর চিকিৎসক থেকে শুরু করে সকল কিছু তাদের ছিল।
নাজমার ভাই দিপু অভিযোগ করেন, নির্ধারিত সময়ের আগে অপারেশন শুরু করায় এ মৃত্যু হয়েছে। পরে মৃত ব্যক্তিকে তারা আবার ঢাকায় পাঠানোর নাটক সাজায়। হাসপাতালের দালাল মামুন অর্ধেক পথ যাওয়ার পর জানায় রোগী মারা গেছেন।
নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডা: মাসুম ইফতেখার জানান, এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: সাহেদ উদ্দিন জানান, একজন ডাক্তারকে ভুক্তভোগীর স্বজনদের রোষাণল থেকে রক্ষা করতে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply