নুরুন্নবী নবীন,নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি::নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ জেলা কমিটির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত নয়জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয় কয়েকটি চেয়ার। আহতদের মধ্যে দুজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার চৌমুহনী পৌর অডিটরিয়ামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর আগে থেকে ওই স্থানে শুরু হয় সম্মেলন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে, দীর্ঘদিন থেকেই পরিষদের জেলা কমিটি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরমধ্যে কেন্দ্র থেকে গোপনে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। ওই আহ্বায়ক কমিটি শুক্রবার চৌমুহনীতে প্রতিনিধি সভার কথা বলে সকল উপজেলার নেতাদের ডেকে চৌমুহনী পৌর অডিটরিয়ামে একত্রিত করেন। কিন্তু সভাস্থলে এসে তারা দেখতে পায় সেখানে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের ব্যানার লাগানো হয়েছে। এক পর্যায়ে বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা নেতৃবৃন্দ প্রতিনিধি সভাস্থলে কেন সম্মেলন এ বিষয়ে জানতে চাইলে আহ্বায়ক কমিটির লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। যা কিছুক্ষণের মধ্যে সংঘর্ষে রূপ নেয়।
দফায় দফায় চলে এ সংঘর্ষ, ভাঙচুর করা হয় সভাস্থলে থাকা কয়েকটি চেয়ার। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত নয়জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে দিপন রায় ও সুমন নামের দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কমিটির একজন সদস্য বলেন, সংঘর্ষ হলেও সম্মেলন বন্ধ হয়নি। উল্টো সম্মেলনে পরিষদের বর্তমান আহ্বায়ক বিনয় কিশোর রায়কে সভাপতি, অ্যাডভোকেট পাপ্পু সাহাকে সাধারণ সম্পাদক এবং নোয়াখালী পৌরসভার প্যানেল মেয়র রতন কৃষ্ণ পালকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে একটি আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ড. নীল চন্দ্র ভৌমিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিন্দ্র কুমার নাথ উপস্থিত ছিলেন।
বেগমগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুর রহমান জানান, কোন প্রকার প্রশাসনিক অনুমতি ছাড়াই তারা সম্মেলনের আয়োজন করেছে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এসব বিষয়ে কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
Leave a Reply