নবীন,নোয়াখালী প্রতিনিধি:নোয়াখালী জেলায় উৎসবমুখর পরিবেশে ১২৫৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্টুডেন্টস কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।শিশুদের মধ্য থেকে নেতৃত্বের বিকাশ, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, ঝরে পড়া রোধ ও শিক্ষা সহায়ক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার পদক্ষেপ হিসেবে সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্টুডেন্টস কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচন কমিশনের পোলিং ও প্রিজাইডিং অফিসার এবং নিরাপত্তা কর্মী হিসেবেও দায়িত্বপালন করছেন শিক্ষার্থীরাই। রোববার সকাল থেকে সারা দেশের মতো এক যোগে তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি শিক্ষার্থীরা ৭টি পদে পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দেয়। সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এই ভোট গ্রহণ চলে।
এ সময় শিশুদের মধ্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সৃষ্টির লক্ষে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা গেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা বিদ্যালয় আঙ্গিনায় হাতে লেখা পোস্টার সাঁটিয়েছে এবং প্রার্থীরা সহপাঠীদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছে। রোববার সকালে জেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরেজমিন ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানা গেছে, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত একযোগে নোয়াখালী জেলার ৯টি উপজেলার ১২৫৩ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তৃতীয় শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন। কৃষ্ণরামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্টুডেন্টস কাউন্সিল নির্বাচনে সাতটি পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এ বছর নির্বাচনে বিদ্যালয়ের প্রায় ৩৯৩জন ভোটার তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করেন।
এতে ৭জন প্রার্থী বিজয়ী হন তারা হলেন, ক্লাস তৃতীয় শ্রেনী থেকে আতহার নুর ও মো .আলী, চতুর্থ শ্রেনী থেকে মো. মাহির আবছার ও মো. তাহমিত হাসান, পঞ্চম শ্রেনী থেকে বৃষ্টি আক্তার ,ইসরাত জাহান কুহেলী ও নাঈমা আক্তার।
কৃষ্ণরামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আহসান উল্যা হেলাল জানান, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণি থেকে ৭ জন প্রার্থী জয়ী হয়েছে। তারা স্বাস্থ্য, বন ও পরিবেশ বিষয়ক, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, আপ্যায়ণসহ সাতটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করবে। গত বছরের মেতো এবারও উৎসব মুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থী ছাড়াও অভিভাবকদের মধ্যে অনেক উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে।
কৃষ্ণরামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশনার পারদিন জয়িতা বলেন, সকাল থেকেই সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহন শুরু হয়ে দুপুর ২টা সম্পন্ন হয়েছে।
৫ম শ্রেণির ভোটার শারমিন আক্তার বলেন, ১৮ বছরের কম বয়সী কেউ ভোট দিতে পারেন না সেখানে আমরা শিশুকালে জাতীয় নির্বাচনের মতো ভোট দিয়েছি খুব আনন্দ লাগছে। লাইনে দাড়িয়ে আমি সাড়ে ১০ টার পর আমার ভোটটি পছন্দের প্রার্থীকে দিয়েছি। আশা করছি সে বিজয়ী হবে।
Leave a Reply