নোয়াখালী প্রতিনিধি- নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় সুন্দরপুর এলাকায় রিকশা চালক আব্দুস সাত্তার হত্যার ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এনিয়ে হত্যায় জড়িত দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি খাল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলা থেকে অন্তরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরআগে বৃহস্পতিবার ভোরে চাটখিল পৌরসভার সুন্দরপুর গ্রাম থেকে মোহনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মোহনের জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন আদালতের জ্যুাডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো: সোয়েব উদ্দিন।
পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে চাটখিল পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের ভিপি মিজান সড়কের ইউছুফ আলী তফদার বাড়ীর সামনের সড়ক থেকে ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় রিক্সচালক আব্দুস সাত্তারের লাশ উদ্ধার করে চাটখিল থানা পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত আব্দুস সাত্তারের ছোটভাই নোয়াখালী সদর উপজেলা আন্ডারচর গ্রামের বাসিন্দা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে বুধবার দুপুরে চাটখিল থানায় অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে হত্যাকান্ডের স্থানে নারীদের ব্যবহৃত একটি ওড়নার ও শার্টের কলারের সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার ভোরে চাটখিল থানা পুলিশ নিয়ে সুন্দরপুর এলাকায় মোহনের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। থানায় এনে পুলিশি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোহন রিকশাচালক আব্দুস সাত্তারকে তার এক সহযোগীসহ ছুরিকাঘাতে হত্যা করে বলে স্বীকার করে। মোহন জানায় রিকশা চালক আব্দুস সাত্তারের রিকশায় ইয়াবা টেবলেট বহন করছে। এমন খবর পেয়ে মোহন ও তার এক সহযোগী রিকশাটি ভাড়া নিয়ে সুন্দরপুর ইউছুফ আলী তফদার বাড়ির সামনে যাওয়ার পর নির্জন স্থানে আব্দুস সাত্তারের কাছে মোহন ও তার সহযোগী ইয়াবা টেবলেট চায়। এনিয়ে মোহনের সাথে আব্দুস সাত্তারের সাথে কথা কাটাকাটি ও ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে মাহন তাকে ছুরিকাঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই আব্দুস সাত্তার নিহত হলে তারা পালিয়ে যায়।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম জানান, হত্যাকান্ডের স্থানে পাওয়া শাটের কলার ও নারীদের ওড়না সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার ভোরে মোহনকে পাশের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার ও মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে অন্তরকে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় শুক্রবার অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় ।
Leave a Reply