নবীন,নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়া উপজেলায় চর ঈশ্বর, সুখ চর, নলচিরা ইউনিয়নে ভাঙ্গা বেড়ি বাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে ৬ গ্রামের ৩ হাজার লোক পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পানিবন্দি লোকজন মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
জানা গেছে, গত কয়েক দিনের টানা পূর্নিমার জোয়ারের জেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে চর ঈশ্বর,সুখ চর ও নলচিরা ইউনিয়নে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ (বেড়ি বাঁধ) এর ভাঙা অংশ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবল স্রোতের মাধ্যমে পানি প্রবেশ করতে থাকে। এতে করে উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের ৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৩ হাজার মানুষ। গত ৫ দিন যাবত পানিবন্দি হয়ে মানবতর জীবনযাপন করছেন ওই সকল গ্রামের লোকজন ॥
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, গত কয়েকদিনের পূর্নিমার প্রভাবে মেঘনা নদীতে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে হাতিয়া উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের লোকজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। আগামী ৩-৪ দিন পানি আরও বাড়ার আশংকা রয়েছে। পানি বৃদ্ধির ফলে প্রতিদিনই হাতিয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চলে বাড়ি ঘর ও ফসলের মাঠ প্লাবিত হয়ে ক্ষতি হচ্ছে ফসল ও মৎস খামারের।
তিনি আরও জানান,এই তিনটি ইউনিয়নে ২ কিলোমিটার বেড়ি বাঁধ নেই। এগুলো মেরামতের জন্য পানি উন্ননয় বোর্ডের মাধ্যমে মন্ত্রাণলয়কে জানানো হয়েছে । বরাদ্দ আসলে কাজ শুরু করা হবে ।
Leave a Reply