আহতরা হচ্ছেন- শাহাদাত হোসেন, রাশেদ হাজারী, হামিদুল হক বিপ্লব, সফি উল্যা, মামুন, আবু ছায়েদ, শামীম ও সোনিয়া আক্তারসহ ১১জন। আহতদের স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হামিদুল হক বিপ্লব তার স্ত্রী সোনিয়া আক্তারকে নিয়ে বসুরহাট প্রাইভেট হাসপাতালে আসেন। পরে তিনি ডা. রৌশন জাহান লাকীকে দেখানোর জন্য সিরিয়াল নেন। তার সিরিয়াল নাম্বার ছিল ৯। এসময় সিরিয়াল আগ-পর নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে বিপ্লবের লোকজনের বাকবির্তক ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার ঘটে।
বসুরহাট প্রাইভেট হাসপাতালের ম্যানেজার রাশেদ হাজারী বলেন, হামিদুল হক বিপ্লবের সিরিয়াল এগিয়ে আনার জন্য সিরিয়ালম্যানের সাথে বাক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। পরে তিনি বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিপ্লব তার লোকজন তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এর একপর্যায়ে হাসপাতালের চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন এগিয়ে আসলে তারা উনার উপরও হামলা করে। পরে হামলাকারীরা ডা রৌশন জাহানের চেম্বারে হামলা করা চেষ্টা করলে উপস্থিত লোকজনের বাধার মুখে পালিয়ে যায়।
হামিদুল হক বিপ্লব তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই চিকিৎসকের সিরিয়ালম্যান তার স্ত্রীর সিরিয়াল না দিয়ে পরের সিরিয়ালের লোকজনকে আগে চেম্বারে নিয়ে যায়। এ নিয়ে সোনিয়া প্রতিবাদ করলে তাকে অকথ্য ভাষায় কথা ও উতক্ত্য করার চেষ্টা করে সিরিয়ালম্যান। পরে তিনি বিষয়টি ম্যানেজারকে জানাতে গেলে তিনি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানসহ আরও লোকজন একত্রিত করে এবং তাদের উপর হামলা চালায়।
পরে তারা হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর হাসপাতল কর্তৃপক্ষ লোকজন নিয়ে পুনঃরায় তাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে, তার স্ত্রী, তার বাবা, ভাই ও দুই ভাগিনাসহ বেশ কয়েকজনকে পিটিয়ে আহত করে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে বসুরহাট ন্যাশানাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.আরিফুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কোন পক্ষই এখন পর্যন্ত থানায় লিখিত কোন অভিযোগ করেনি। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
Leave a Reply