এর আগে, সকাল ৭টার দিকে কোম্পানীগঞ্জে মুছাপুর ইউনিয়নের সাইফুল ইসলাম’র স্ত্রী লুৎফুন নাহার (২০) একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেন।
নবজাতক শিশুর পিতা এ ঘটনায় সুধারাম থানায় মৌখিক অভিযোগ করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত চুরি হওয়া শিশুটির কোন খোঁজ মিলেনি।
নবজাতক শিশুর বাবা সাইফুল ইসলাম কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, তার স্ত্রীর প্রসব বেদনা শুরু হলে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। সকাল আনুমানিক ৭টার দিকে তার স্ত্রী একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। পরে জন্ম নেওয়া শিশুকে আমরা চাইলে নার্স ও আয়া ছলছুতায় ওজর করা শুরু করে। ঘণ্টা খানেক পর আমাদের বলা হয় মৃত নবজাতক হয়েছে। তারপরে মৃত শিশু দেখতে চাইলে তারা মৃত শিশুর দেহও দেখাতে পারেনি। সর্বশেষ আমাদের নবজাতক শিশুকে ফিরে পেতে হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বহুবার গিয়েও কোন ফল পাইনি।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল আজিম বলেন, বিয়টি খতিয়ে দেখছি, এ বিষয়ে এক্ষুনি কিছু বলা যাচ্ছে না। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নবীর হোসেন এ ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি আরো বলেন, নবজাতক চুরির ঘটনায় চুরি হওয়া নবজাতকের বাবা মৌখিক ভাবে থানায় অভিযোগ করেছেন। আজ রোববার পুলিশ তদন্ত করে এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
Leave a Reply