নোয়াখালী প্রতিনিধি::নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে (১৪) এক কিশোরীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার দুপুরে ভিকটিমকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভিকটিম তাদের পাশ্ববর্তী মোস্তান নগরে বড় বোন এর বাড়ীতে বোনের মেয়েকে নিয়ে যাচ্ছিল। এসময় তাদের গতিরোধ করে মোহম্মদপুর ১নং ওয়ার্ডের মোবারক আলী সওদাগরের ছেলে হোসেন ব্যাপারী (৪৫) ও ২নং ওয়ার্ডের ওলি উদ্দিনের ছেলে সোহেল (২৪)। পরে তারা ভিকটিমকের মুখ চেপে জোর পূর্বক তাকে তুলে চর আলা উদ্দিন বাজারের পশ্চিম পাশের একটি খামার বাড়ীতে নিয়ে যায়। খামার বাড়ীতে আরো দুই ব্যক্তি ছিলো। প্রথমে কিশোরীকে কাদা মাটিতে পেলে হোসেন ব্যাপারী ও পরে সোহেল ধর্ষণ করে। এসময় তারা তাদের মোবাইলে সেই ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করে কাউকে জানালে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে ভিকটিমকে হুমকি দেয়। সুযোগ বুঝে ভিকটিম পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে হোসেন ব্যাপারী তাকে পুনঃরায় ধরে গলায় পা দিয়ে চেপে হত্যার চেষ্টা করলে সে অচেতন হয়ে যায়।
তার পরিবারের লোকজন আরো জানান, ভিকটিমের বোনের মেয়ে বাড়ীতে গিয়ে ঘটনাটি জানালে তার মা লোকজন নিয়ে বিভিন্ন স্থানে খোজাখুঁজি করেন। এর একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে আলা উদ্দিন বাজারের পশ্চিম পাশের একটি খামার বাড়ীতে কাদা মাখা অচেতন অবস্থায় ভিকটিমকে উদ্ধার করেন তারা। পরে রাত তিনটার দিকে তার জ্ঞান ফিরে আসে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল আজিম জানান, দুপুরে ভিকটিমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে সে গাইনী বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ উদ্দিন জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। তবে ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ আসেনি। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
Leave a Reply