এসটিভি ডেস্ক::পদ্মা সেতু তৈরিতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. ইউনূসের হাত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, ইউনূসের প্ররোচণায় বিশ্ব ব্যাংক পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়।
রবিবার দুপুর ১২টার দিকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া টোলপ্লাজা সংলগ্ন গোলচত্বরে পদ্মাসেতু প্রকল্পের অগ্রগতি এবং এর রেল সংযোগের নির্মাণ কাজ উদ্বোধনের সময় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর নামফলক উন্মোচন ও রেল সংযোগসহ চারটি প্রকল্পের ভিত্তি স্থাপন করেন।
২০১০ সালে পদ্মা সেতুর কাজ শুরুর কথা থাকলেও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অর্থায়ন স্থগিত করে বিশ্বব্যাংক। পরে ২০১৩ সালের ৩০ জুন পদ্মা সেতুতে ১২০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি বাতিল করে দেয় বিশ্ব ব্যাংক। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার এবং আওয়ামী লীগ নেতারা বারবার দুর্নীতির অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করে আসছিল।
দীর্ঘ টানাপড়েনের এক পর্যায়ে বিশ্ব ব্যাংককে ‘না’ করে দিয়ে নিজেদের অর্থে পদ্মাসেতু নির্মাণে হাত দেয় বাংলাদেশ সরকার। এরপর কানাডার একটি আদালতের রায়ে ‘দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়ার কথা প্রকাশের পর নতুন করে আলোচনায় আসেন ড. ইউনূস।
ড. ইউনূসের জন্য ‘সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের লবিংয়ে’ বিশ্ব ব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধ করে দেয় বলে প্রধানমন্ত্রী বারবার বলে আসছেন। পদ্মা সেতুর অগ্রগতি কাজ পরিদর্শনে গিয়েও একই কথার পুনরাবৃত্তি করলেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ইচ্ছা ছিল পদ্মা সেতুর সঙ্গে রেল সেতু নির্মাণ করার। বিশ্ব ব্যাংক ও এডিবি এ কাজে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে। কিন্তু ড. ইউনূসের প্ররোচণায় বিশ্ব ব্যাংক পদ্মা সেতুর জন্য অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা কারও সাহায্য নেব না। আমি পার্লামেন্টে ঘোষণা দিলাম। বাংলাদেশের মানুষের কাছে আমার কৃতজ্ঞতা। তারা আমাকে সহযোগিতা করলেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, দেশি-বিদেশি সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ স্বাভাবিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে এই সেতুর ৬০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এটি আমাদের জন্য সৌভাগ্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলে প্রবৃদ্ধি প্রায় ২ ভাগ বাড়বে। প্রবৃদ্ধি ১০ ভাগ হয়ে যেতে পারে। মানুষের অবস্থার আরও উন্নতি হবে। আর্থিক দুরবস্থা থাকবে না।
এ সময় সেতু এলাকায় জীববৈচিত্র্য রক্ষায় স্থানীয়দের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।(সিলেটের সকাল)।
Leave a Reply