পবিত্র ঈদুল আজহা কাল

ডেস্ক রিপোর্ট::যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাব গান্বীর্যের মধ্যে দিয়ে আগামীকাল সোমবার বাংলাদেশে পবিত্র ঈদ-উল আজহা উদযাপিত হবে। হিজরি বর্ষপঞ্জি অনুসারে জিলহজ মাসের ১০ তারিখে ঈদ-উল আজহা বা ‘কোরবানির ঈদ’ উদযাপিত হয়।
কোরবানির ইতিহাস। হজরত ইব্রাহিম (আ.)–এর সুন্নত অনুসরণ করেই সারা বিশ্বের মুসলমানরা ১০ জিলহজ কোরবানি দিয়ে থাকেন। হজরত ইব্রাহিম (আ.) স্বপ্নে তার সবচেয়ে প্রিয় বস্তু কোরবানির জন্য মহান আল্লাহর নির্দেশ পেয়েছিলেন। পরপর দুবার তিনি পশু কোরবানি করেন।
তৃতীয়বার একই নির্দেশ পেয়ে তিনি অনুধাবন করেন, পুত্র ইসমাইলের চেয়ে প্রিয় তার কেউ নেই। আল্লাহ পাক তাকেই কোরবানি করতে নির্দেশ দিচ্ছেন। হজরত ইব্রাহিম (আ.) তার প্রাণপ্রিয় পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.)–কে আল্লাহর নির্দেশ জানালেন। শিশু ইসমাইল (আ.) নির্ভয়চিত্তে সম্মতি দিয়ে পিতাকে আল্লাহতাআলার নির্দেশ পালন করতে বলেন। কোরবানি করতে উদ্যত হজরত ইব্রাহিম (আ.) পুত্রস্নেহে যেনো দুর্বল না হয়ে পড়েন, সে জন্য তিনি চোখ বেঁধে নিয়ে পুত্রের গলায় ছুরি চালিয়েছিলেন। আল্লাহর অপার কুদরতে এ সময় হজরত ইসমাইল (আ.)–এর পরিবর্তে দুম্বা কোরবানি হয়ে যায়।
 ১০ জিলহজ পবিত্র ঈদ-উল আজহা অনুষ্ঠিত হলেও পরের দুই দিন অর্থাৎ ১১ ও ১২ জিলহজেও কোরবানি করার বিধান রয়েছে। আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করে সমস্ত লোভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেষ, ক্রোধ, স্বার্থপরতা তথা মানুষের ভেতরের পশুত্বকে ত্যাগের মধ্য দিয়ে আত্মশুদ্ধি লাভের ভেতরেই রয়েছে কোরবানির প্রকৃত তাৎপর্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা