উত্তম কুমার পাল হিমেল:: স্বাধীনতা যুদ্ধে বিরোধীতাকারী দেশাদ্রোহীরা স্বাধীনতার জয়বাংলা শ্লোগান না দিলেও দেশে আজ কোটি কোটি মানুষ জয়বাংলা শ্লোগান দিচ্ছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের সফল ২য় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা সরকার দেশের মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের জন্য যে সুযোগ সুবিদা চালু করেছেন তা বাংলাদেশের অন্যতম দৃষ্টান্ত।
এ ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চের ভাষন মুক্তিযুদ্ধের মুলমন্ত্র ছিল বলেই আজ তা আন্তজার্তিক স্বীকৃতি পেয়েছে। দেশে আত্মস্বীকৃত রাজাকার,আলবদরা আজও আলদ সাপের মতো ঘাপটি মেরে বসে আছে । যেকোন মুহুর্তে দেশের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। তাই সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রেখে তাদের চিহ্নিত করে প্রতিহত করতে চলতে হবে।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে সবাইকে ঐব্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তিনি সোমবার (২৬ মার্চ) দুপুরে নবীগঞ্জ উপজেরা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত মহান ম্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০১৮ উদযাপন উপলক্ষ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষনের তাৎপর্য এবং উন্নয়ন অগ্রগতি শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।
নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ বিন হাসানের সভাপতিত্বে এবং পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ এনামুল হকের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন,হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ নেতা শাহনেওয়াজ মিলাদ গাজী,নবীগঞ্জ উপাজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগম,সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরউদ্দিন বীর প্রতীক,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাদারন সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী,মুক্তিযোদ্ধের সংগঠক মোঃ আব্দুর রউফ,বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় সমাজকল্যান সম্পাদক ডাঃ বেগম,থানা অফিসার ইনচার্জ এম এম আতাউর রহমান, ।
অনুষ্টানে বক্তব্য উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মোঃ আবু সিদ্দিক,উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট গতি গোবিন্দ দাশ,কাজী ওবায়দুল কাদের হেলাল,সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ মিলু,সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হাই,ইউপি চেয়ারম্যান এডবোকেট জাবেদ আলী,জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল মালিক,মুক্তিযোদ্ধা মৌলাদ হোসেন কাজল,মুক্তিযোদ্ধা শামসুদ্দিন,মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর রফিক,উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক লোকমান আহমদ খান,উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক উত্তম কুমার পাল হিমেল,
উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি দুলাল চৌধুরী,উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দিলারা বেগম,উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কমান্ডের যুগ্ম আহবায়ক গৌতম কুমার দাশ,মুক্তিযোদ্ধা সন্তান নিজামুল চৌধুরী প্রমূখ। অনুষ্টানের শুরুতে কোরআন তেলওয়াত করেন ইমাম আব্দু করিম,গীতাপাঠ করেন উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক উত্তম কুমার পাল হিমেল।
দিনব্যাপী অনুষ্টানমালার মধ্যে ছিল,সুর্য্যদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির ও স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পন,জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জে,কে উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আনুষ্টাঠিক জাতীয় পতাকা উত্তোলন,পুলিশ আনসার ভিডিপি স্কাউট,গার্লস গাইড,বিভিন্ন স্কুলের চাত্র-ছাত্রীর সমন্বয়ে কুচকাওয়াজ ও শরীর চর্চ্চা,ক্রীড়ানুষ্টান ও পুরস্কার বিতরন।
তবে অনুষ্টানে বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চের ভাষনের রেকর্ড না শোনানোর কারনে মুক্তিযোদ্ধা শামসুদ্দিন অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
Leave a Reply