জুয়েল খাঁন:: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান এমপি বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশে বন্যায় দুর্গতদের দেখতে এখানে এসেছি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের মাধ্যমে সব সময় বন্যা দুর্গতদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন। তিনি বলেন,জনগনের বিপদে প্রধানমন্ত্রী সব সময় এগিয়ে আসেন। বন্যা শুরুর এক সপ্তাহ পূর্বে সতর্ক বার্তা পেয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়,পানি সম্পদ মন্ত্রাণালয় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। প্রত্যেকটা জেলায় চাল,ডাল চিড়া,ঔষধ,লবণ,চিনিসহ শুকনো খাবার মজুদ রেখেিেছ।বন্যায় দুর্গতদের জন্য হবিগঞ্জ জেলায় ৯শত টন চাল,নগদ ১৫লক্ষ টাকা,৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ৫শত তাবু বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন,এ বন্যায় কোন মানুষ না খেয়ে থাকবেনা।
তিনি আরো বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপর বিশ্বাস রাখুন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সুখি সমৃদ্ধ,ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।গতকাল বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক,আউশকান্দি,ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী এলাকায় বন্যায় কবলিত গ্রাম ও ঝুঁকিপূর্ণ বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ও নদী ভাঙ্গন পরিদর্শন শেষে দুপুর সাড়ে ১২টায় বিবিয়ানা নর্থ প্যাড সংলগ্ন মাঠে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্টানে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
হবিগঞ্জ জেলা ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক তারেক মো: জাকারিয়ার সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের উপ-মন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম এমপি বলেন,নবীগঞ্জে বন্যা দুর্গত মানুষদের দেখে গেলাম ও ত্রাণ বিতরন করলাম। লঞ্চযোগে কুশিয়ারা নদী,ডাইক ও বন্যার পানিতে প্লাবিত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টান দেখে আসলাম। তিনি বলেন,স্থানীয় সংসদ সদস্য গাজী শাহ নওয়াজ মিলাদ প্রধানমন্ত্রীকে ডিও লেটার দিয়েছেন। তার ভিত্তিতে আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে ৭দশমিক ০৪ কিলোমিটার বাঁধের জন্য প্রায় ৫শত ১৮ কোটি টাকার প্রকল্প আমরা দিয়েছি। এ বছরই আমরা কুশিয়ারা নদীর উভয় তীর রক্ষা প্রকল্পের কাজ শুরু করবো। তিনি বলেন,কুশিয়ারা নদীর ১৭৬ কিলোমিটার ড্রেজিং এর ব্যবস্থা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন,যে বাঁধ ভেঙ্গে গিয়েছিলো,আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে রক্ষার ব্যবস্থা করেছি। আমি বিশ্বাস করি,জেলা পরিষদ,জেলা ও উপজেলা প্রশাসন,পানি উন্নয়ন বোর্ড,এলাকার জনসাধারন,স্থানীয় আওয়ামীলী ও অঙ্গ সংগঠনের সার্বিক সহযোগিতায় এ বছর বন্যার পানি আর প্রবেশ করবেনা। আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্যে রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য গাজী শাহ নওয়াজ মিলাদ। উপস্থিত ছিলেন,দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: শাহ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ হাসিম,সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্যা,কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন,হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী মো: তাওহিদুল ইসলাম,উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এম এল সৈকত,নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ-বিন হাসান, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট আলমগীর চৌধুরী, হবিগঞ্জের ডেপুটি সিভিল সার্জন স্বপন কুমার বসাক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুল,সাধারন সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী,হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য এডভোকেট সুলতান মাহমুদ,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ মিলু,ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ এওলা মিয়া,নজরুল ইসলাম,মুহিবুর রহমান হারুন,বজলুর রশীদ,দীঘলবাক আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: গোলাম হোসেন প্রমূখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইনাতগঞ্জ,দীঘলবাক ইউপি আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকমীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি বন্যা দুর্গত ১হাজার মানুষের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরন করেন। আলোচনা সভা ও ত্রাণ বিতরন শেষে সাংবাদিকদেও প্রশ্নের জবাবে পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন,বিবিয়ানা নদী খননের জন্য প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন আছে। প্রতিমন্ত্রী ও উপ-মন্ত্রী এর পূর্বে বেলা সাড়ে ১১টায় নবীগঞ্জের পারকুলে কুশিয়ারা ডাইক পরিদর্শন করেন।
Leave a Reply