ডেস্ক নিউজ::চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ১২ শ’ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিকদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছে। শনিবার বেলা ১২টার দিকে গন্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনার ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বেশ কয়েকটি দাবি আদায়ের বিক্ষোভ থেকে এ সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো প্রায় ৩০ জন।
এদের মধ্যে ঘটনাস্থলেই নিহত হন আহমদ রেজা (১৮), রনি হোসেন (২২), শুভ (২৪) ও মো. রাহাত (২৪)। এছাড়া চমেক মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আনার পর আরো একজনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে আহমদ রেজা বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাশের পূর্ব বড়ঘোনা এলাকার মো: আবু ছিদ্দিকের ছেলে বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শীলব্রত বড়ুয়া জানিয়েছেন, বাঁশখালীর বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ১৫ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আরো মারা যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, রমজানে কর্মঘণ্টা কমানোসহ বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে শ্রমিকদের সাথে মালিক পক্ষের বিরোধ দেখা দিলে এ নিয়ে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করতে থাকে। পরিস্থিতি অবনতিশীল হয়ে উঠলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু তাতেও শ্রমিকদের নিবৃত্ত করা না গেলে একপর্যায়ে পুলিশ গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত হয়। নিহত চারজনের লাশ বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. শফিউর রহমান মজুমদার।
এছাড়া অন্তত ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ৩০ জনের মতো আহত হয়। আহতদের মধ্যে ১৫ জনকে গুরুতর অবস্থায় চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply