ডেস্ক রিপোর্ট ::
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার বিজয়া দশমী আজ। প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী এই শারদীয় উৎসব।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকালে সারাদেশের মণ্ডপগুলোতে অনুষ্ঠিত হবে বিহিত পূজা। এরপর হবে দর্পণ ও বিসর্জন। বিজয়া দশমীতে স্থানীয় আয়োজন ও সুবিধামতো সময়ে শোভাযাত্রার মাধ্যমে সারাদেশে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হবে। হিন্দুশাস্ত্র মতে, এদিন দেবী দুর্গা মর্ত্য ছেড়ে কৈলাসে ফিরে যাবেন দোলায় চড়ে।
ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, মানুষের মনের অসুরিক প্রবৃত্তি—কাম, ক্রোধ, হিংসা, লালসা বিসর্জন দেওয়াই বিজয়া দশমীর মূল তাৎপর্য। এসব প্রবৃত্তি ত্যাগ করে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠাই এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য।
নবীগঞ্জে ৯৩টি পূজামণ্ডপে করগাঁ ইউনিয়নের মাধবপুর নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হবে বিকেলে।
দেবীর বিদায়ের আগে সিঁদুর খেলায় মাতবেন নারীরা
দেবী দুর্গার বিদায়ের আগে মণ্ডপে মণ্ডপে সিঁদুর খেলায় মেতে উঠবেন নারীরা। দেবীর চরণের সিঁদুর নিয়ে নিজেদের সিঁথিতে ও মুখে রাঙিয়ে নেবেন তারা। শাস্ত্রমতে, স্বামীর মঙ্গল কামনায় এই দিনে দেবীর সিঁদুর নিজেদের সিঁথিতে লাগিয়ে আশীর্বাদ নেন বিবাহিত নারীরা। এরপর একে অপরকে সিঁদুর পরিয়ে শুভকামনা বিনিময় করেন।
মধ্যসমত গ্রামের অঞ্জলী দাশ বলেন, “এই উৎসব মূলত হিন্দু বিবাহিত নারীদের জন্য। স্বামীর দীর্ঘজীবন কামনায় আমরা প্রতিবছর সিঁদুর খেলা খেলি। দেবীর বিদায়ের এই দিনে অন্যরকম এক ভালোবাসা ফুটে ওঠে আমাদের মাঝে।”
মহানবমীতে রাজধানী ও নবীগঞ্জের পূজামণ্ডপে বিষাদের ছোঁয়া
বুধবার মহানবমীতে পূজা মণ্ডপগুলোতে ভক্তদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে আনন্দের মাঝেই শুরু হয়েছে বিদায়ের সুর। অনেক ভক্তকে দেবী দুর্গার সামনে অশ্রুসিক্ত হতে দেখা গেছে।
ইছবপুর গোবিন্দ জিউর আখরায় আগত উত্তম কুমার পাল হিমেল বলেন, “দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়েই শেষ হবে এই প্রাণের উৎসব। দেখতে দেখতেই কেটে গেল দিনগুলো। আবার দেবী মায়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে একটি বছর।”
একই অনুভূতির কথা জানান নবীগঞ্জের সলিল বরন দাশ। তিনি বলেন, “ষষ্ঠী থেকে নবমী পর্যন্ত পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দ করেছি। কিন্তু বিসর্জনের কথা মনে পড়তেই মনটা খারাপ হয়ে গেল। দেবী মা আজই কৈলাসে ফিরে যাবেন।”
উল্লেখ্য, এবছর নবীগঞ্জে ৯৩টি পূজামণ্ডপে জাঁকজমকভাবে দুর্গোৎসব পালিত হয়েছে।
Leave a Reply