জামাল আহমেদ,ভৈরব ( কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি ॥ ভৈরবে করোনাভাইরাস আতঙ্ক আর বিদ্যুতের অব্যাহত লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে । বিদ্যুতের অব্যাহত লোডশেডিংয়ের কারণে জনজীবনের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহতসহ উৎপাদন ও শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়ায় বিঘœ ঘটছে । প্রতিদিন গড়ে ৮/১০ ঘন্টা বিদ্যুতের লোড শেডিং হচ্ছে । বিদ্যুতের এ নাজুক পরিস্থিতিতে ভৈরববাসী ক্ষোভে ফুসে ঊঠেছে । বিদ্যুতের এ নাজুক পরিস্থিতিতে দ্রƒত পদক্ষেপ নিতে স্থানীয় সাংসদ ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সহ বিদ্যুত মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভৈরববাসী ।
জানাযায় বিগত ২ মাস যাবৎ ভৈরবের বিদ্যুত ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে । প্রতিদিন কোন না কোন এলাকায় লোডশেডিং হচ্ছে । বিদ্যুতের এ ভেলকিবাজিতে অতিষ্ট হয়ে সম্প্রতি ভৈরব উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবীতে ভৈরব বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করে এর কারন জানতে চায় । এসময় বিদ্যুতের লোডশেডিং কেন হচ্ছে ? সঠিকভাবে যেন বিদ্যুতের সমস্যা থাকলে সমাধান করে জনগণকে লোডশেডিংয়ের অভিশাপ থেকে মুক্তি দেয় তা না হলে দায়িত্ব থেকে স্বেচ্ছায় সরে যাওয়ার জন্য সতর্ক করে দেন ভৈরব বিদ্যুৎ উন্নয়ন ও বিতরণ বিভাগের আবাসিক নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শফিকুল ইসলামকে । কিন্ত তিনি ভৈরব থেকে অন্যত্র বদলী হলে নতুন কর্মস্থলে যোগ দেন মোঃ সুলতান আহমেদ নামে আবাসিক নির্বাহী প্রকৌশলী । কিন্ত তিনি যোগদানের কয়েকদিন পর ফেসবুক পেজে বিদ্যুত লাইন মেরামত করা হবে এজন্য আগামী ৪ জুন ভৈরবে লোডশেডিং হবে বলে একটি গণ বিজ্ঞপ্তি জারী করেন । কিন্ত এখনো পর্যন্ত বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কবল থেকে ভৈরববাসী মুক্ত হতে পারেনি ।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাযায়, ভৈরবে গড়ে প্রতিদিন ২৬ মেঘাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে । কিন্ত চাহিদা মোতাবেক বিদ্যুত সরবরাহ আছে । আসল সমস্যা হচ্ছে বিদ্যুতের সঞাচালন ক্যাবল লাইন এবং পাওয়ার ট্রান্সফরমার এবং অদক্ষ জনবল । এসব সমস্যা সমাধান করা গেলে বিদ্যুত লোডশেডিংমুক্ত করা যাবে । তাছাড়া বিকল্প ব্যবস্থায় আশুগঞ্জ থেকে টাওয়ারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা গেলে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে ।
এ বিষয়ে পলতাকান্দা গ্রামের বাসিন্দা সেলিম মিয়া জানান, করোনাভাইরাসে মানুষ আতঙ্কিত । এরমধ্যে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে ডায়াবেটিস,উচ্চ রক্তচাপসহ হার্টের রোগীরা আরো অসহায় হয়ে পড়েছে । স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা শেহজাদ হাসান নাঈম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,আগের প্রকৌশলী যে ধারায় বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলেছিল নতুন প্রকৌশলী এসে ও তার কোন পরিবর্তন নেই । লোডশেডিংয়ের কবল থেকে রেহাই মিলবে কবে আল্লাহ মালুম ।
এ বিষয়ে জাকির হোসেন জানান,লোডশেডিংয়ের কারনে ফ্রিজ,টিভি,কম্পিউটার,ফ্যানসহ বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে । । করোনা ভাইরাসের কারনে স্বাভাবিক কাজকর্ম নেই আবার এরই মধ্যে ভৌতিক বিল পরিশোধের জন্য বিলের কাগজ পাঠিয়েছে । এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘাঁ । এ বিষয়ে ভৈরব বিদ্যুত অফিসে গিয়ে আবাসিক নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সুলতান আহমেদ কে পাওয়া যায়নি । তার মোঠো ফোনে ফোন দিলে তিনি জানান, বিদ্যুতের লোডশেঙিং ঠিক হয়ে যাবে । কবে নাগাদ ঠিক হবে আর লোডশেডিং হচ্ছেই বা কেন এর কোন জবাব তিনি দিতে পারেননি ।
Leave a Reply