জামাল আহমেদ,ভৈরব ( কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:: ভৈরবে আরো ৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে । এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ভৈরবে ১০ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে ।
গত ১০ এপ্রিল প্রথম করোনা ধরা পড়ে ভৈরব থানা পুলিশের ১ উপ-পরিদর্শক । এর পর এক ঔষুধ ব্যবসায়ীর পর আরেক উপ-পরিদর্শক পরে ১ তরুনী ও যুবকের পর আজ ১ জন চিকিৎসক,১ জন নার্স ও ৩ পুলিশ কনষ্টেবলের করোনা ধরা পড়ে । এ নিয়ে ভৈরবে এখন পর্যন্ত ১০ জন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে ।প্রথম করোনাভাইরাসে ( কোভিড-১৯) ভৈরব থানার ১ পুলিশ উপ-পরিদর্শক আক্রান্ত হওয়ার পর তাকে ঢাকা কুর্মিটোলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। তার অবস্থা ভালো বলে জানা গেছে । এরপর ২য় আক্রান্ত ঔষুধ দোকানদারকে ও ঢাকা একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে । উপ-পরিদর্শক আক্রান্ত হওয়ায় শনিবার রাতে ভৈরব থানার ওসিসহ থানায় কর্মরত ৬৪ জন হোমএবং ৫ চিকিৎসককে ভৈরবে ট্রমা সেন্টার ও শহীদ আইভি রহমান পৌর ষ্টেডিয়ামের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে ।ভৈরব-কুলিয়ারচর সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ রেজুয়ান দিপু জানান, থানার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য রাতেই কিশোরগঞ্জ জেলা থেকে ৩৫ জন পুলিশ সদস্য ভৈরব থানায় যোগদান করেছেন ।
প্রথম আক্রান্ত উপ-পরিদর্শক চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে ভৈরব থানায় যোগদান করেছেন । তার বাড়ি ময়মনসিংহে বলে জানা গেছে । আক্রান্তের ঘটনায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিউটাউন,র্যাব ক্যাম্প সংলগ্ন কয়েকটি বাড়ি এবং আগানগর ইউনিয়নের কয়েকটি বাড়ি পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে আক্রান্ত ব্যাক্তি যে সকল স্থানে যাতায়াত করেছেন সেসকল স্থানে লাল পতাকা দ্বারা চিহ্নিত করে চলাচল সিমীত করেছে উপজেলা প্রশাসন । গণ বিজ্ঞপ্তি থেকে আরো জানাযায়, মণি ব্যাচেলার্স ও তার সম্মখের গলি,ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মহিলা ও পুরুষ ওয়ার্ড, হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসারের রুম,মডাণ হাসপাতাল, আকবর নগরবাজার,চকবাজার,কালিকাপ্রসাদ ও শিবপুর ২টি ইউনিয়নে লাল পতাকা দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে । এছাড়া চন্ডিবের বাদশা মিয়া,কালিপুর বুধাইবেপারীর বাড়ির আশে-পাশে কয়েকটি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে ।এসকল এলাকার সকল দোকনপাট বন্ধ রাখা ও লোকজনদেরকে ঘরের ভিতর থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মজিবুর রহমান জানান, আক্রান্ত ব্যাক্তি গত কয়েকদিনে কোথায় কোথায় কার সাথে যোগাযোগ বা কথাবার্তা হয়েছে এমন সব ব্যাক্তিদের নজরদারিতে রেখে প্রয়োজনে তাদের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হবে ।
গত কয়েকদিনে ভৈরবের ৬৪ জন রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানোর পর আজ পর্যন্ত ৩৪ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে । ৫৩ জনের মধ্যে ৪৩ জনের নেগেটিভ এবং ১০ জনের পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে । বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভৈরব করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ বুলবুল আহমেদ ।
Leave a Reply