মোঃ জামাল মিয়া ভৈরব (কিশোরগঞ্জ ) প্রতিনিধি::ভৈরবে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২ দল গ্রামবাসির টানা ৭ ঘন্টা সংঘর্ষে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় অজ্ঞাত দেড় হাজার গ্রামবাসির বিরদ্ধে পুলিশ বাদি হয়ে ভৈরব থানায় ১ টি মামলা দায়ের করেছে ।
এদিকে এ সংঘর্ষের ঘটনায় সোমবার (৫মার্চ) বেলা ১১ টার দিকে কালিপুরের জয়নাল হাজিকে মারধর এবং চন্ডিবের গ্রামের কাউন্সিলর আওলাদ হোসেন ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মির্জা সোলায়মানের পুত্র আওয়ামীলীগ নেতা মির্জা সাজ্জাদ কে মারধর করছে প্রতিপক্ষরা এমন গুজব ছড়িয়ে পড়লে কালিপুর ও পলতাকান্দা উভয় গ্রামের শত শত লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ।
এ সময় উত্তেজিত জনতা কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে । বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে । উল্লেখ্য, পুলিশের বিনা অনুমতিতে শনিবার রাতে কালিপুরে মোস্তফা ফকিরের বাড়ীতে ওরছ মাহফিলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কালিপুর ও পলতাকান্দা ২ গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের জের ধরে রোববার সকালে ২ দল গ্রামবাসির টানা ৭ ঘন্টা সংঘর্ষ চলে ।
এ সময় পুলিশের এস আই শফিকুল ইসলাম,সাংবাদিকসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয় । সংঘর্ষে টিটু( ২২ ),হাসান (২৫ ),বাদল (৩০ ), রনি (২২) আক্কাছ (২৮ ) লিল মিয়া (২০),সাদ্দাম (২০ ) অপু , এছাড়াও পুলিশের গুলিতে আবদুর রহমান আদু (৩২),আলী হোসেন (৩৫), আমজাদ হোসেন আহত হন ।
এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শতাধিক রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে । এছাড়াও সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মির্জা সোলায়মান ও আহত হয় । সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয় । পরে খবর পেয়ে বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলরুবা আহমেদ,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ) শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে আসেন ।
এরপর সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার হোসেন খান ঘটনাস্থলে এসে উভয় পক্ষের স্থানীয় নেতাদের সাথে বৈঠক করে মিমাংসার অনুরোধ জানালে এতে উভয় পক্ষ সম্মতি দেয় ।
পরে আজ সোমবার প্যানেল চেয়ারম্যান মির্জা সোলায়মানের বাড়ীতে শালিসি বৈঠকে আগামী বুধবার পুনরায় শালিসি বৈঠকে মিমাংসা করার সিদ্ধান্ত হয় । বর্তমানে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে ।
Leave a Reply