জাবেদ তালুকদার, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) থেকে : গত কয়েকদিনের তীব্র তাপদাহ আর ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ট নবীগঞ্জবাসী। সকাল থেকেই ঠা ঠা রোদে শুরু হচ্ছে দিন। প্রতিদিন একটু একটু করে বাড়ছে সূর্যের তাপ। নবীগঞ্জে ২৩মে (রবিবার) তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র তাপদাহ আর ভ্যাপসা গরমে শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট হয়ে উঠেছে অসহ্যনীয়। রিকশাচালক, ভ্যান বা ঠেলাগাড়ি চালক ও দিনমজুরেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। তীব্র রোদ আর ভ্যাপসা গরমের কারণে খোলা আকাশের নিছে তারা স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারছেন না। কয়েকজন রিক্সাচালক ও দিনমজুরের সাথে এ প্রতিবেদকের কথা হয়। এক রিক্সাচালক বলেন, এই গরমে একটু রিকশা চালালেই শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়। বেশি দূরের ভাড়া মারা যায় না। একটানা বেশি সময় কাজ করা যায়না। একটা ভাড়া নেওয়ার পর অনেক সময় ধরে রেস্ট না নিলে রিকশা চালানো অনেক কষ্টকর হয়ে পড়ে। আগের মতো রোজগারও হয়না। এক দিনমজুর বলেন, এই তীব্র গরমে খোলা আকাশের নিছে কাজ করা অনেক কষ্টকর। কিছুক্ষন পর পর বিশ্রাম নিতে হয় একটানা কাজ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। অভাবের তাড়নায় এই তীব্র গরমেও কাজ করতে হচ্ছে।
গরমে অতিষ্ঠ হয়ে ফুটপাত থেকে আখের রস, লেবুর শরবত ইত্যাদি খেয়ে তৃষ্ণা মিটাতে দেখা যায় অনেককে। গরমের তীব্রতা সহ্য করতে না পেরে শিশুরা পুকুর কিংবা নদীর পানিতে সাতার কেটে সময় পার করছে। দিনভর প্রখর রোদের প্রভাবে রাতেও বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ আর ভ্যাপসা গরম। এদিকে গত কয়েকদিন ধরে দেখা নেই ঝড়-বৃষ্টির। মাঝেমধ্যে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হলেও কিছুক্ষণ পর তা মিলিয়ে যাচ্ছে। কিছুটা প্রশান্তির জন্য মানুষ ছুটছেন গাছের ছায়া কিংবা শীতল কোনো স্থানে। অতিরিক্ত গরমের ফলে বাড়ছে বিভিন্ন ধরনের পানিবাহিত রোগ। ডায়রিয়ার পাশাপাশি জ্বর, সর্দিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ ও প.প কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সামাদের সাথে এ প্রতিবেদকের কথা হলে তিনি বলেন, তীব্র গরমের ফলে বিভিন্ন ধরনের পানিবাহিত রোগ বাড়ছে, জ্বর, সর্দি, ডায়রিয়া সহ বিভিন্ন রোগ নিয়ে সাধারণ মানুষ হাসপাতালে আসছেন তবে খুব বেশী পরিমানে আসছেননা। অন্যান্য বছরগুলোর তুলনায় এবছর কম সংখ্যক রোগীই হাসপাতালে আসছেন।
Leave a Reply