উত্তম কুমার পাল হিমেল,ষ্ঠাফ রিপোর্টারঃ মাধবপুরের হরিতলায় অবৈধভাবে ভুমি দখলে বাধা দেওয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় গর্ভবতী মহিলাসহ সংখ্যালঘু পরিবারের ৫ জন গুরুতর আহত হওয়ার মারামারি মামলার অন্যতম আসী নাজমা
অবশেষে পুলিশের খাচায় বন্দী। মাধবপুর থানা পুলিশের এস আই ইসমাইল হোসেনের নের্তৃত্বে একদল পুলিশ বৃহস্পতিবার বিকালে অভিযান চালিয়ে হরিতলা নাজমার বাড়ী তাকে গ্রেপ্তার করে।
সুত্রে জানাযায়, মাধাবপুর থানার বাগাসুরা ইউনিয়নের হরিতলা গ্রামের আশু রবি দাসের পুত্র ভুমিহীন বাদল রবি দাস হরিতলা মৌজার জে এল নং ১১,খতিয়ান নং ১,দাগ নং ৪৮৯৯ মুলে ৩৪ শতক ভুমি হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নিকট থেকে বন্দোবস্ত মোকাদ্দমা নং ৬৪৪/৮৮-৮৯ মুলে স্থায়ী বন্দোবস্ত নিয়ে ভোগ দখল করে আসতেছেন। এই বন্দোবস্তকৃত ভুমির মধ্যে ৩ শতক ভুমি একই
গ্রামের ঠান্ডা মিয়ার পুত্র তাজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী নাজমা বেগম গংরা সংখ্যালঘু আশু রবি দাসের পরিবারকে নিরীহ পেয়ে জবর দখল করে সেখানে
দোকানপাট তৈরী করলে আশু রবি দাস বাদী হয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার আবেদন করেন। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে জেলা প্রশাসক মাধবপুর থানার এসিল্যান্ডকে নির্দেশ দিলে তা উচ্ছেদ করা হয়।
কিন্তু ভুমিখেকো তাজুল ও তার স্ত্রী তাদেরকে হয়রানী করার জন্য মিথ্যা মামলায়
আশ্রয় নেয় এবং পুনরায় ভুমি দখলের পায়তারা করে। এরই জের ধরে পুর্ব পরিকল্পিতভাবে গত ১৮ অক্টোবর রবিবার বিকালে তাজুল ইসলাম তার স্ত্রী
নাজমা বেগম,নিম্মর আলীর পুত্র জনব আলী তার পুত্র জসিম মিয়া,মকসুদ আলীর
পুত্র আলী আশরাফ,শাহপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের পুত্র মাহফুজ মিয়া গংরা
অতর্কিতভাবে তাদের বাড়ীঘরে হামলা চালায়। এতে উল্লেখিতরা গুরুতর আহত
হয়। এ ব্যাপারে আশু রবি দাসের পুত্র অনিল রবি দাস বাদী হয়ে গত ২০ অক্টোবর
মঙ্গলবার মাধবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ আসামীকে
নাজমাকে গ্রেপ্তার করে। অপর আসামীরা পলাতক রয়েছে।
Leave a Reply