এসটিভি ডেস্ক::রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুন নেভানোর কাজে ব্যবহৃত একটি পাইপের ফাটা অংশ দুহাতে চেপে ধরে আছে এক শিশু । ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।এফ আর টাওয়ারে আগুনের তীব্রতা বড়ছে। জীবন বাঁচাতে সবাই ছোটাছুটি করছেন। উদ্ধার তৎপরতা আর আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত ফায়ার সার্ভিস। চারদিকে উৎসুক মানুষের ভিড়।
এই ভিড়ে কাজ করতে হিমশিম উদ্ধারকারী সংস্থার সদস্যরা।এ সময় একটি শিশু ফায়ার সার্ভিসের পানির পাইপের লিকেজ চেপে ধরে রেখে পানির প্রবাহ স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেছিল। শিশুটির নাম নাঈম ইসলাম। সাধারণ মানুষের জীবন বাঁচাতে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে স্বেচ্ছায় কাজে যোগ দেয় সে।
ঘটনাটি ঘটে গতকাল বৃহস্পতিবার বনানীর এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের সময়। পরে নাঈমের একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা গেছে, আগুন নেভানোর কাজে ব্যবহৃত পানি সরবরাহের একটি পাইপের ফাটা অংশ দুই হাতে চেপে ধরে আছে নাঈম। এরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবিটির প্রশংসা করে অনেকেই পোস্ট দেন।
কেউ কেউ ‘বীর’ উপাধিও দেন নাঈমকে।ঘটনার একদিন পর আজ শুক্রবার দুপুরে এফ আর টাওয়ারের সামনে আসে নাঈম ইসলাম। এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে স্বেচ্ছায় ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে কাজে যোগ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা বলে।
নাঈম ইসলাম রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকে। ব্র্যাকের আনন্দ স্কুলের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে সে। তার বাবা একজন ডাব বিক্রেতা। মা কর্মজীবী।নাঈম জানায়, বাসায় তার মা নাজমা বেগম টিভি ছাড়তে বলেন। টিভিতে আগুনের ঘটনা দেখে দৌড়ে এফ আর টাওয়ারের সামনের সড়কে চলে আসে সে। যখন সে দেখে ফায়ার সার্ভিসের পানি সরবরাহের পাইপ ফাটা তখন সে দুই হাত দিয়ে চেপে ধরে রাখে।
পরে তাকে কেউ একজন পলিথিন দিয়ে যায়।কেন পাইপ চেপে ধরেছিলে-জানতে চাইলে নাঈম বলে, ‘মানুষ বাঁচাতে পাইপ চেপে ধরেছিলাম। পাইপ ফাটা থাকলে তো পানি সব অন্য দিকে পড়ে যায়।’
নাইম বলে, ‘আমি বড় হয়ে পুলিশ অফিসার হইতে চাই। পুলিশ অফিসার হইলে মানুষেরে সাহায্য করা যাইব।’ এজন্য সে ভালোভাবে পড়াশোনা করে নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে চায়।
Leave a Reply