মো: আবু ছালেহ:: নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জের বাংলাদেশী বংশদুত বৃটিশ নাগরিক জালাল উদ্দিন(৩৭) নামের এক যুবককে মৌলভীবাজারে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে মৌলভীবাজার মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন নিহত জালাল উদ্দিন এর স্ত্রী রুমিতা বেগম।
মামলায় মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গল রোডে অবস্থিত উদ্দীপন মাদক নিরাময় কেন্দ্রের পরিচালক মৌলভীবাজার সদর উপজেলার গোবিন্দ্রশ্রী গ্রামের ফিরোজ মিয়ার পুত্র রিপন আহমদ ও অপর পরিচালক মৌলভীবাজার উপজেলার কাজিরগাঁও(পূর্ব) গ্রামের লুৎফুর রহমান খাঁনের পুত্র সুহেল মিয়াসহ ৭জনের নাম উল্লেখ করে অঞ্জাতনামা ২/৩ জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মৌলভীবাজার থানার উন্সপেক্টর(তদন্ত) দেবদুলাল ধর।
মামলায় উল্লেখ করা হয় হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জের মৃত ইছিরাব উল্লার পুত্র জালাল উদ্দিন গত এপ্রিল মাসে দেশে আসেন। সে মাদকাসক্ত থাকায় তাকে মৌলভীবাজার উদ্দিপন মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করার জন্য কেন্দ্রের পরিচালক রিপন আহমেদ এর সাথে যোগাযোগ করেন। এ সময় তারা সঠিক চিকিৎসা দিবে বলে আশ্বস্থ্য করেন। গত ২৯ডিসেম্বর দুপুরে উক্ত কেন্দ্রের পরিচালক রিপন আহমদ ও সুহেল জালালের বাড়িতে এসে তাকে নিয়ে যান এবং উক্ত নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করেন ।
গত ৬ জানুয়ারী সন্ধ্যয় পরিচালক রিপনের নাম্বার থেকে মুঠোফোনে প্রবাসী জালাল উদ্দিন এর আত্মীয় ও মামলার সাক্ষি নাজমুল হক পিনুকে জানানো হয় জালাল অসুস্থ হয়ে পরেছে। তাকে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। এ খবরে তারা দ্রুত সিলেট যান এবং হাসপাতালে খুজাখুজি করে জালালকে পাননি। পরে ওই নাম্বার থেকে আবার জানানো হয় জালাল মারা গেছে। আপনারা মৌলভীবাজার আসেন। পরে মৌলভীবাজার এসে উদ্দিপন মাদক নিরাময় কেন্দ্রের সামনে একটি এম্ব্যেুলেন্সের ভেতর জালালের মৃত দেহ দেখতে পান। এ সময় নিরাময় কেন্দ্রের কাউকে খুজে পাওয়া যায়নি। নিহত জালালের শরিরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ পাওয়া যায়।
মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়,উদ্দিপন মাদক নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা জানিয়েছেন তারা টাকার জন্য জালালকে প্রায়ই হাত পা বেঁধে মারধর করতো। ঘটনার দিন হাত পা মুখ বেঁধে অমানসিক নির্যাতন করে জালাল উদ্দিনকে হত্যা করা হয়েছে।
খবর পেয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালেরে মর্গে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করে। ময়না তদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ওই দিনই বাদমাগরিব স্থানীয় কলেজ মাঠে নামাজে জানাজা শেষে গ্রাম্য কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
Leave a Reply