নিজস্ব প্রতিনিধি::সুনামগঞ্জের প্রখ্যাত আইনজীবী, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, লেখক সাংবাদিক ও হাওর বাচাঁও সুনামগঞ্জ বাচাঁও আন্দোলনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরুকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাদ জোহর সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সম্মুখে পুলিশের একটি দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। এতে হাজারো ভক্তবৃন্দ ও শুভানুধায়ীরা নামাজে জানাজায় অংশগ্রহন শেষে মরহুমের মরদেহ শহরের ষোলঘর জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে তৃতীয় নামাজে জানাযা শেষে ষোলঘর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
তারঁ জানাজায় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ-৫ আসনের এমপি মুহিবুর রহমান মানিক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শরিফুল ইসলাম,সুনামগঞ্জ পৌর মেয়র নাদের বখত, জেলা আওয়ামীলীরে সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুর রহমান,দেওয়ান এমদাদ রাজা চৌধুরী,পুলিন বখত,সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাজী নুরুল মোমেন,দোয়ারাবাজার উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য শফিকুল ইসলাম,সাবেক দোয়ারাবাজার উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ, দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব সাংবাদিক এনামুল কবির মুন্না জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী।
এর আগে তার কর্মস্থল সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সম্মুখে মরহুমের প্রথম নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। তিনি গত বুধবার দুপুরে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন। তিনি সুনামগঞ্জ শহরের একজন পরিচিত ও প্রতিবাদী মানুষ ছিলেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরুর মৃত্যু গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আলহাজ্ব এম এ মান্নান,সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুল হুদা মুকুট,জেলা যুবলীগের আহবায়ক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল প্রমুখ।
এক শোকবার্তায় তারা জানান,বজলুল মজিদ খসরু ছিলেন হাওরের জেলা সুনামগঞ্জের মাটি ও মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন। তিনি সুনামগঞ্জ জেলাবাসীর যেকোন আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রভাগের সৈনিক ছিলেন।
তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামে দেশ মাতৃকার জন্য জীবন বাজি রেখে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে মুক্তিযদ্ধ করেছেন। তার অবদান জেলাবাসী আজীবন মনে রাখবেন। তারা এই বীরমুক্তিযোদ্ধার রুহের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারের সকল সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা ঞ্জাপন করেন।
Leave a Reply