মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, লন্ডন: করোনায় বিপর্যস্ত ব্রিটেনে গত ১৯ জুলাই থেকে লকডাউন সংক্রান্ত বিধি-নিষেধ শিথিল করার পর সাম্প্রতিক সময়ে সংক্রমণ ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সংক্রমণ নিয়ে একটি সাপ্তাহিক জরিপের পর গত শুক্রবার এ তথ্য জানা গেছে।
দেশটির হাসপাতালগুলোতেও রোগীর চাপ বেড়েছে বিধি নিষেধ শিথিলের পর। হাসপাতালে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়েছে আগের তুলনায় ছয় হাজারেরও বেশি লোকের, যা এ বছরের মধ্য মার্চের পর সবচেয়ে বেশি।
কিন্তু ব্রিটেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দৈনিক পরীক্ষার যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে গত সপ্তাহে সংক্রমণ কমে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। এতে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা। কারণ, তাঁরা আগেই বলেছিলেন, ১৯ জুলাই বাদবাকী বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার পর সংক্রমণ বেড়ে যাবে। তবে অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকস (ওএনএস) এর সর্বশেষ জরিপে বলা হয়েছে, সংক্রমণ কমেনি এবং দৈনিক পরীক্ষার মাধ্যমে নতুন নতুন সংক্রমণের চিত্রও উঠে আসেনি।
ওএনএস বলছে, ইংল্যান্ডে সংক্রমণ বেড়েছে এক লাখ ১৪ হাজার ৫শ’ যা লকডাউনের সময়ের চেয়ে ১৫.৪ শতাংশ বেশি। ওয়েলস এবং নর্দান আয়ারল্যান্ডে সংক্রমণ বেড়েছে। স্কটল্যান্ডে সংক্রমন কমেছে বলে ওএনএস বলছে।
এদিকে, ওএনএসের জরিপ এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যে যে অসঙ্গতি এর বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বিধি-নিষেধ পুরোপুরি তুলে দেয়ার পর অনেকেই এর সমালোচনা করেন। এর আগে গত বছর মার্চে লকডাউন না দিয়ে আরো আগে লকডাউন ঘোষণা করলে ব্রিটেনে এত অধিক সংখ্যক মানুষ মারা যেত না বলেও বরিসকে দোষারোপ করা হয়েছিল।
তবে, নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বরিস জনসন টিকা কর্মসূচির সফলতার কথা তুলে ধরেন।
Leave a Reply