শিশুর পুষ্টিকর খাবারের গুরুত্ব অপরিসীম

ডেস্ক রিপোর্ট ::শিশুর সঠিক বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য পুষ্টিকর খাবারের গুরুত্ব অপরিসীম। একটি শিশুর স্বাস্থ্যকর ভবিষ্যতের ভিত্তি স্থাপন হয় তার শৈশবেই। সঠিক পুষ্টি শিশুর শারীরিক, মানসিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিচে শিশুর জন্য পুষ্টিকর খাবারের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উল্লেখ করা হলো:

১. দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য

মাতৃদুগ্ধ: নবজাতকের জন্য সর্বোত্তম খাদ্য। এটি শিশুকে সব ধরনের পুষ্টি সরবরাহ করে এবং তার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

গরুর দুধ বা দুগ্ধজাত পণ্য: ছয় মাস বয়সের পর দই, ছানা, বা পনির দেওয়া যেতে পারে।
২. শস্যজাতীয় খাবার

ভাত, রুটি, ওটস, সুজি: এগুলো শিশুর শক্তি সরবরাহ করে।

মিষ্টি আলু বা আলু: সহজে হজমযোগ্য এবং পুষ্টিকর।
৩. ফলমূল

কলা, আপেল, পেঁপে, আম, কমলা: শিশুকে প্রাকৃতিক শর্করা, ভিটামিন ও খনিজ সরবরাহ করে।

ব্লেন্ড বা সেদ্ধ করে মসৃণ করে খাওয়ানো যেতে পারে।
৪. সবজি

গাজর, মিষ্টি কুমড়া, পালংশাক, ব্রোকলি: এগুলো ভিটামিন, খনিজ এবং আঁশের ভালো উৎস।

সেদ্ধ করে নরম করে খাওয়ানো যায়।
৫. প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার

ডিম: শিশুদের জন্য সহজলভ্য প্রোটিন।

মুরগি বা মাছ: শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ও শক্তি বৃদ্ধিতে কার্যকর।

ডাল ও বাদাম: ছয় মাস পর থেকে এগুলো ধীরে ধীরে খাওয়ানো যেতে পারে।
৬. চর্বি এবং তেল

ঘি বা মাখন: শিশুর ওজন বাড়াতে সহায়ক।

বাদাম তেল বা অলিভ অয়েল: সঠিক পরিমাণে শিশুর খাবারে মেশানো যেতে পারে।
৭. পর্যাপ্ত পানি এবং তরল

সঠিক পরিমাণে পানি খাওয়ানো জরুরি।

ঘরে তৈরি ফলের জুস বা স্যুপ শিশুদের জন্য ভালো।
খাবার দেওয়ার সময় সতর্কতা

1. অতিরিক্ত লবণ বা চিনি ব্যবহার করবেন না।
2. খাবার অবশ্যই পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যসম্মতভাবে প্রস্তুত করুন।
3. শিশুর বয়স অনুযায়ী খাবারের পরিমাণ ও ধরন নির্ধারণ করুন।
4. নতুন কোনো খাবার দেওয়ার আগে ছোট পরিমাণে দিয়ে দেখুন, শিশুর কোনো অ্যালার্জি আছে কিনা।

সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করে শিশুকে সুস্থ, সবল এবং সুখী করে তোলা সম্ভব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা