ডেস্ক রিপোর্ট:: কেন সাংবাদিক পেশায় এসেছিলাম ? আল্লাহ ইচ্ছা ও মা,বাবার দোয়া ছিল বলে হয়তো এ পেশায় আসতে পেরেছি। সাংবাদিক পেশায় কেন এসেছি কি করেছি।তবে এ টুকু বলতে পারি। এ পেশায় এসে নিজেকে কখনো কলংকিত করেনি।কারো উপকার করতে না পারলেও ক্ষতি করিনি।সমাজের অন্যায় অবিচার তুলে ধরছি।
১৯৯৭ সালে আল্লাহর বাড়ী ওমরাহ পালন করে কাবা শরিফ তওয়াফ করেছি। সেই সময়ের পদবী ছিল আলহাজ্ব। আমার দাদা,বাবা দানবীর হয়েও ইনাতগঞ্জ বাজারের আশপাশের মানুষের কাছ থেকে মুল্যায়ন পাননি। আজ গ্রাম থেকে রাজধানী পর্যন্ত সম্মানিত। যাহারা প্রতিহিংসা করছে তাহারা তাদেরই মতো ছিল। ১৯৯৮ ইং সালে স্বপ্ন দেখি। মসজিদে কান্না করে বলছে আমাকে ফিতনা থেকে বাছাও। বিবেক তখন থেকে নিরবে শুরু করে প্রতিবাদ। ইনাতগঞ্জ পশ্চিম বাজার জামে মসজিদের কান্না শুনে হাসি ফুটাইতে এসেছিলাম। সেই মহৎই পেশাকে মহৎি কাজে লাগাতে এত দুঃখ কষ্ট যন্ত্রণা সহ্য করে প্রায় ২১ বছর অতিক্রমের পর ইনাতগঞ্জ পশ্চিম বাজার জামে মসজিদ কে কলংক ও ফিতনা মুক্ত করি। সহযোগিতা করেছেন নতুন প্রজন্মের ছাত্র ও যুব সমাজ। অনেক সাংবাদিকের মধ্যে সিনিয়র ছিল অনেক।। কিন্তু আমার সাথে ছিল সিনিয়র সাংবাদিক দু একজন। তরুনরা সিনিয়র কে ভয়ে সামনে না এসে পিছনে সহযোগিতা করেছে। দলের নেতারা ভোটের জন্য আমাকে সহযোগিতা করেন নাই। তারা সব সময় প্রভাবশালীদের কে খুশি করতে গিয়ে তাহারা ও আমাকে সহযোগিতা না করে অন্যায় কে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। কিন্তু আমি দলের জন্য অনেক কিছু করেছি তার বিনিময়ে সভাপতি পদবী পেয়ে সম্মানিত হয়েছি। তবে দল থেকে কিছুই পাইনি বা আশা ও করিনি। আমি যুক্তরাজ্য প্রবাসী ক্লাসমিট বন্ধুদের কাছ থেকে ভালবাসা সহ সহযোগিতা পেয়েছি।যুক্তরাজ্য প্রবাসী বন্ধু ২০২০ টুয়েন্টি টুয়েন্টি সবাইকে অভিনন্দন।
দুনীতিবাজদের উদ্দেশ্যে বলবো সাধু সাবধান হয়ে যাও। নিজের সন্তানদের জন্য কলংক মুক্ত রেখে যাও। ইনাতগঞ্জের আশে পাশের বাজার সহ সরকারি বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দুনীতি জড়িত। সেই দুনীতি যুবসমাজ মানবেনা। সব প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব উন্মুক্ত করে দেন। ভালো মানুষকে খুজে নেতৃত্ব দেন। রাজতন্ত্র থেকে বেরিয়ে আসা হবে বুদ্ধি মানের কাজ। দুনীতিবাজরা পালানোর পথ খুঁজে পাবেনা । আমার চলার পথে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের মধ্যে মরহুম এটি এম নুরুল ইসলাম খেজুর ভাই , আনোয়ার হোসেন মিঠু ভাই ও রাকিল হোসেন ভাইেআজ মরহুম এটি এম নুরুল ইসলাম খেজুর ভাই আমাদের মাঝে নাই। দোয়া করি মহান আল্লাহ যেন তাকে বেহেস্তের সর্ব্বোচ্চ স্থান দান করেন। আমীন।
লেখক
আশাহীদ আলী (আশা)।
সিনিয়র সহসভাপতি নবীগঞ্জ প্রেসক্লাব।
Leave a Reply