সাঘাটার দুই কেন্দ্র পরিদর্শককে আজীবনের জন্য দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির সুপারিশ

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল,গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার কামালেরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রে নকল সরবরাহের সত্যতা মিলেছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে নকল সরবরাহের সত্যতা পাওয়ায় ওই পরীক্ষা কেন্দ্র বাতিল, দায়ীত্বে অবহেলায় কেন্দ্রসচিব ও উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে তিরস্কার এবং কেন্দ্রের দুই পরিদর্শককে আজীবনের জন্য দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।

সোমবার (০২ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে সুপারিশকৃত এ তদন্ত প্রতিবেদন সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জমা দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আহসান হাবীব।

তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সাঘাটা উপজেলার কামালেরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের সব কয়টি কক্ষে নকলে মেতেছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। এজন্য কেন্দ্রের ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মামুন অর রশিদ, কামালেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামালেরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব শাহিনুর ইসলাম সাজুকে তিরস্কার ও কেন্দ্রটি বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।

এছাড়া শিক্ষার্থীদের নকলে বাধা না দেয়ায় কেন্দ্রের পরিদর্শকের দায়িত্বে থাকা গাছাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ববিতা আকতার এবং ওসমানেরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আইয়ুব আলীকে আজীবনের জন্য পরিদর্শকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আহসান হাবীবকে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন- উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের (ইউআরসি) ইন্সট্রাক্টর সাজু মিয়া ও সাঘাটা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম।

গত ২৪ নভেম্বর সারাদেশের মতো গাইবান্ধায় পিইসির গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সরেজমিন গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার কামালেরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় পিএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, পরীক্ষার্থীদের নকল সরবরাহ করতে শতশত অভিভাবক কেন্দ্রের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছেন। সময়-সুযোগ পেলেই শিক্ষার্থীদের হাতে নকল ধরিয়ে দিচ্ছেন তারা। নকল চলাকালীন পরীক্ষার পরিদর্শকরা নীরব ভূমিকায় ছিলেন।

অধিকাংশ পরীক্ষার্থী নকল করলেও কেন্দ্রের ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মামুন অর রশিদ ও কামালেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামালেরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব শাহিনুর ইসলাম সাজু কোনো পদক্ষেপ নেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা