সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বাগানে শিমুল ফুল বাড়ছে পর্যটকের ভীড়

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:: মেঘালয়ের উত্তরীয় শীতের হিমেল বাতাসকে বিদায় দিয়ে আজ এসেছে বসন্ত। গাছের মরা পাতা ঝরে পরে গাছে গাছে সুবজ পাতার কুঁড়ি বিকোশিত হচ্ছে।
বসন্তের আবির রাঙ্গা সাজে সেজেছে দেশের বৃহত্তম শিমুলবাগান। সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের মানিগাঁও গ্রামে যাদুকাটা নদীর কুল ঘেঁষে  একশো বিঘা জমির উপর তিন হাজার শিমুল গাছ নিয়ে গড়ে ওঠেছে এই শিমুল বাগান।
সুহালা গ্রামের প্রয়াত শিক্ষানুরাগী ও ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন বাগানটির প্রতিষ্ঠা করেন বাণিজ্যিক ভাবে তুলা উৎপাদনের জন্য। কিন্তু এখন সুবিশাল শিমুল বাগান পর্যটকদের অন্যতম ভ্রমণ তীর্থ হয়ে ওঠেছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দল বেধে পর্যটকরা শিমুল বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন। বিগত এক দশক থেকে শিমুল বাগানে ফুল ফুটতে শুরু করেছে।
বসন্তের মধ্যভাগে পুরো শিমুল বাগান আগুন রঙ ধারন করে প্রকৃতিতে আগুন ঝরায়। বসন্তের শুরুতেই কিছু কিছু গাছে সীমিত আকারে শিমুল ফুল ফোঁটেছে আগামী সপ্তাহ দশ দিনের মধ্যে পুরো বাগানে ফুল ফোঁটে ওঠবে। ফুল ফোটোক বা না ফোটুক প্রকৃতি-প্রেমীরা  ছুটির দিন সহ বিশেষ দিন গুলোতে বেড়াতে আসেন।
তারা উপভোগ করেন শিমুল বাগানের অপার সৌন্দর্য ও যাদুকাটা নদীর রূপমাধুরী। রাজধানী শহর ঢাকার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে  আন্ত:জেলা বাসে চড়ে সুনামগঞ্জ আব্দুজ জহুর সেতুর মোড়ে নেমে। মোটরসাইকেল বা সিএনচি অটোরিস্কায় চড়ে শিমুল বাগান থেকে দ্বেড় ঘন্টা সময় লাগবে।
বাস ও সিএনজি ভাড়া আসা যাওয়া বাবদ খরচ হবে তিন হাজার টাকা। বাগান মালিক ও বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রাখাব উদ্দিন বলেন, বাগানে কোন কোন অংশে সীমিত আকারে শিমুল ফুল ফোটতে শুরু করেছে। আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে পুরো বাগানে ফুল ফুটবে। তারপরও  পর্যটকদের আনাগুনা থেমে নেই। করোনা কালেও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা শিমুল বাগান দেখতে আসেন। এছাড়া শীত গ্রীষ্ম বর্ষা সব সময় পর্যটকরা এখানে ঘুরতে আসে। তবে শীত কালে পর্যটকের সংখ্যা অনেকগুণ বেড়ে যায়।
ছুটির দিনে বা ১৪ ফ্রেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে পর্যটকদের উপচে পড়া ভীড় হয়। তবে শিমুল গাছে ফুল ফোটার পর থেকে ঝরে পড়ার পূর্ব পর্যন্ত শতশত পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত থাকে বাগান। এখানে এসে অনেকেই বন ভোজন করেন।
পর্যটকদের বাড়তি বিনোদনের জন্য স্থানীয় ভাবে সুসজ্জিত ঘোড়ার উপর ওঠে ছবি তোলার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া তাদের সুবিধার জন্য বিশুদ্ধ পানীয় জল ও স্যানিটেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ জাতীয় আরো খবর..

ফেসবুকে আমরা