নোয়াখালী থেকে নবীন::নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চরজুবলী ইউনিয়নের চর মধ্য বাগ্যা গ্রামে গৃহবধূ গণধর্ষনের ঘটনায় আজ বিকালে আদালতে একই এলাকার চাঁন মিয়ার ছেলে তদন্তে জড়িত সন্দেহে আটক হেঞ্জু মাঝি (২৯) ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এ নিয়ে গণ-ধর্ষণের ঘটনায় ৫ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এসময় তারা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
আজ ২ নং আমলি আদালতের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শোয়েব আহম্মদ এর নিকট এ স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। বিজ্ঞ আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে, তাকে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৭ আসামীর ৫ দিনের রিমান্ডের ৩য় দিন ২ জন স্বীকারোক্তি প্রদান করে। গ্রেফতারকৃত এজাহারভুক্ত আসামী মো: সোহেল ও তদন্তে জড়িত সন্দেহে আটক জসিমউদ্দিন রিমান্ডের ৯ জানুয়ারী আদালতে স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় তাদের জবানবন্দি দেন। এসময় তারা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। মামলাটি ডিবি পুলিশ তদন্ত করছে। এর আগে, এজাহারভুক্ত আসামী সালাউদ্দিন এবং আবুল ৭ জানুয়ারী একই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিল।
পুলিশের জেলা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি) এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আবুল খায়ের জানান, গ্রেফতারকৃত এজাহারভুক্ত আসামী মো: সোহেল ও তদন্তে জড়িত সন্দেহে আটক হেঞ্জু মাঝি আজ বিকালে আদালতে স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এসময় সে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
তিনি আরো জানান, পুলিশের তদন্ত এবং ভুক্তভোগী ও গ্রেফতারকৃত আসামীদের জবানবন্দিতে ঘটনার সাথে জড়িতদের মধ্যে হেঞ্জু মাঝির নাম উঠে আসে। ঘটনার পর থেকে সে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে যাত্রীবাহী বাসে সহকারী হিসেবে কাজে যোগ দেয়। তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে গতকাল শুক্রবার ভোরে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
Leave a Reply