হবিগঞ্জ প্রতিনিধি::প্রেমে ব্যর্থ হয়ে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রিচি এলাকায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী মদিনাতুল কোবরা জেরিনকে হত্যা করেছে এক যুবক। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান উদ্দিন প্রধানের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে এ কথা স্বীকার করেছে গ্রেফতারকৃত যুবক জাকির হোসেন। তার স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে মঙ্গলবার রাতে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা বলেন-নিহত ছাত্রী জেরিনের পাশ^বর্তী বাড়ির জাকির হোসেন তাকে ৪/৫ বছর ধরে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছে। জাকিরের প্রেমে সারা না দেয়ায় জেরিনকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয় সে। ১৮ জানুয়ারী সকালে জেরিন স্কুলে কোচিং করার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে পরিবহনের জন্য রাস্তায় অপেক্ষা করে। এসময় পূর্ব পরিকল্পনা জাকিরের সহপাটি সিএনজি অটোরিক্সা চালক কৌশলে নুর আলম তার সিএনজিতে জেরিনকে কৌশলে তুলে। সিএনজিটি কিছুক্ষণ দুরে আসার পর জাকিরকে সিএনজিতে তোলা হয়। সিএনজি অটোরিক্সা জেরিনের স্কুলে সামনে আসার তাকে না নামিয়ে দিয়ে চলে যাচ্ছিল। এ সময় জাকির ও তার সিএনজিতে হৃদয় মিয়া তাকে জোর পূর্বক ধরে রাখে। এ সময় জেরিন শোর চিৎসকার করলে তারা তাকে সিএনজি অটোরিক্সা থেকে রাস্তায় ফেলে দেয়। এতে জেরিনকে গুরুতর আহত করা হয়। ১৯ জানুয়ারী সকালে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার রিচি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জেরিন হত্যার দাবি হবিগঞ্জ-লাখাই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে। এ সময় পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের আশ^াস দিলে তারা আন্দোলন স্থগিত করে।
এ ঘটনায় জেরিনের বাবা আব্দুল হাই সোমবার রাত হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সোমবার রাতে সদর উপজেলার ধল গ্রামের জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নিহত এসএসসি পরীক্ষার্থী মদিনাতুল কোবরা জেরিন স্থানীয় রিচি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিল। সে সদর উপজেলার ধল গ্রামের আব্দুল হাই’র মেয়ে।
সটঃ মোহাম্মদ উল্ল্যা (বিপিএম-পিপিএম), পুলিশ সুপার হবিগঞ্জ।
Leave a Reply