নবীন, নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীর হাতিয়ার মেঘনায় সরকারি নির্দেশ অমান্য করে নিষিদ্ধ সময়ে সমুদ্রে মাছ শিকার করায় ১৩ মাঝি মাল্লাসহ একটি ফিসিং ট্রলার আটক করেছে নৌ-পুলিশ। রবিবার বিকালে নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার পশ্চিম পাশে মেঘনা নদী সংলগ্ন ঢালচরের পাশ থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
এম ভি কালাম নামে ট্রলারটি বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জে পাতার হাট উপজেলার হাবিবুর রহমান আকন্দর ছেলে মোঃ কালাম আকন্দের।
হাতিয়া নলচিরা নৌ-পুলিশের সূত্রে জানাযায়,সরকারি সিদ্বান্ত অমান্য করে ট্রলারটি সমূদ্রে মাছ শিকার করতে যায় ৩দিন পূর্বে। ইতিমধ্যে ট্রলারে থাকা ৫ জন মাঝি মাল্লা অসুস্থ্য হয়ে পড়লে বাধ্য হয়ে ট্রলারটি তীরে ফিরে আসে। তীরে ফিরে আসার সময় ট্রলারটি হাতিয়ার ঢালচরের সন্নিকটে মেঘনা নদী থেকে হাতিয়া নৌ-পুলিশের হাতে আটক হয়।
নৌ-পুলিশের হাতে আটক ১৩ মাঝি হলো বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জের পাতার হাট উপজেলার হাবিব আকন্দের ছেলে কালাম আকন্দ (৪০), আব্দুল বারেক খাঁ ছেলে মো: বাদল খাঁ (৪০), হানিফ তালুকদারের ছেলে বাদশা তালুকদার (৩৫),আব্দুল কাদের খাঁ ছেলে জাহাঙ্গীর খা (৩৫), হোসেন শেখের ছেলে দুলাল শেখ (৬০), ইসমাইল হাওলাদারের ছেলে ইব্রাহীম হাওলাদার( ৫৪), রমিজ উদ্দিনের ছেলে মায়েব হোসেন (৫৫) মাতবরের ছেলে মো: হোসেন (৪০), মন্নান হাওলাদারের ছেলে রুহুল আমিন হাওলাদার (৫০), রশিদ হাওলাদারের ছেলে ইউসুফ হাওলাদার (৩৪), হোসেন মুন্সির ছেলে আক্তার মুন্সি (৪২), বাবুল শিকদারের ছেলে নোমান শিকদার (১৮), পিন্টু সিকদারের ছেলে মাইদুল শিকদার (৩০)। আটক সকলের বাড়ী বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জের পাতার হাট উপজেলায়।
পরে হাতিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সজিব কান্তি রুদ্র ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আটক মাঝি মাল্লাদের মধ্যে ৮জনকে আট হাজার টাকা জরিমানা করে। এবং অসুস্থ্য থাকায় ৫জনকে মুছলেখা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে হাতিয়ার নলচিরা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা একরাম উল্যাহ বলেন, মাছের প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ২০ মে থেকে ৬৫ দিনের জন্য সমুদ্রে সকল ধরনের মাছ শিকার নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছে। এর পর থেকে হাতিয়ায় নৌ-পুলিশ একটি টিম নদীতে তাদের টহল কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
Leave a Reply