ছবি সংগৃহিত
এসটিভি ডেস্ক নিউজ:: নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের ওপর হামলাকারীদেরকে ভিডিও ফুটেজ দেখে আটক করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, ‘আহত পুলিশ সদস্যদের অবস্থা গুরুতর না হলেও তাদের দেখে সহজেই বোঝা যায় প্রাণনাশের জন্য এ হামলা করা হয়েছে।
ভিডিও ফুটেজ ও ছবি দেখে প্রকৃত অপরাধীদের শিগগিরই আটক করা হবে।’
বুধবার সন্ধ্যায় সংঘর্ষে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপি প্ল্যান করে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘তারা পুলিশদের প্রাণনাশ করতে চেয়েছিল। যাতে দেশে একটি ভীতিকর পরিবেশের সৃষ্টি হয় এবং নির্বাচন বানচাল হয়ে যায়। তারা একটি অশুভ উদ্দেশ্য নিয়েই পুলিশের ওপর এ হামলা করেছে।’
এ সময় উপস্থিত ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন, বিনা উসকানিতে পুলিশের ওপর বিএনপির নেতাকর্মীরা হামলা করেছে। পাঁচজন অফিসার ও দুজন আনসারসহ মোট ২৩ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
আমাদের একজন পুলিশ সদস্যকে বিএনপি কার্যালয়ের পাশে একটি ব্যাংকের নিচে আটকে রাখা হয়েছিল। পরে অন্য সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। ঘটনার একপর্যায়ে আমি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দুবার ফোন করি। তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
প্রসঙ্গত, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে একটি মিছিল কার্যালয়ের সামনে আসে।এ সময় বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আরও কয়েকটি মিছিল দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে জড়ো হয়।
তখন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।একপর্যায়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা বিএনপি নেতাকর্মীদের ফুটপাতের দিকে অবস্থান নেওয়ার জন্য রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন এবং তাদের ফুটপাতের দিকে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন।
এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। তখন উপস্থিত নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে এবং রাবার বুলেট ছোড়ে। তখন বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
Leave a Reply