করে নবীগঞ্জ থানায় নিয়ে যায়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সর্বত্র তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। সংবাদ মাধ্যম ও পুলিশের কাছে ভিকটিমের
ভিন্নধর্মী বক্তব্যের কারনে ঘটনাটি নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী সুত্রে জানাযায়, উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের কালাভরপুর গ্রামের জনৈক গৃহবধু দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার সৈয়দপুর বাজার এলাকায় ভাড়া বাসায়
বসবাস করে আসছিল। কয়েক দিন আগে সে রহস্য জনক ভাবে নিখোজ হয়। ভিকটিম গৃহবধু জানায়, রবিবার বিকেল ৫টায় সে শেরপুর থেকে একটি
সিএনজি অটোরিক্সা যোগে আত্মীয় বাড়ীতে ফেরার পথে অজ্ঞাত অটো চালকসহ ৩জন যুবক তাকে হাত পা বেধে অপহরন করে গভীর রাতে আউশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের একটি পরিত্যাক্ত ভবনে নিয়ে পুর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা আরো ৬/৭জন মিলে সংঘবদ্ধ ভাবে ধর্ষন করে। সকালে সিএনজি যোগে আবার তাকে আত্মীয়র বাড়ীতে
পাঠিয়ে দেয়া হয়। এর পর স্থানীয় কিছু মাতব্বর ও জনপ্রতিনিধিরা আপস রফার
চেষ্টা চালায়। ইতি মধ্যে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়। এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকের মাধ্যমে গনধর্ষনের ঘটনাটি ভাইরাল হলে নবীগঞ্জ-বাহুবলের সার্কেল এ এসপি পারভেজ আলম চৌধুরী ও নবীগঞ্জ থানার
ওসি মোঃ আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের দুইটি টিম ঘটনাস্থলে পৌছে ভিকটিম গৃহবধুকে উদ্ধারসহ তার বক্তব্য সংগ্রহ করেন। এ সময় সংবাদকর্মী ও পুলিশের সামনে ধর্ষিতা গৃহবধু একেক সময় একেক ধরনের বক্তব্য দেন। কখনও বলেন ৭জন তাকে ধর্ষন করেছে কখনও বলেন ৩জন তাকে ধর্ষন করেছে। আবার কখনও তিনি
২১ থেকে ১৪জন তাকে ধর্ষন করেছে বলে বক্তব্য দেন। ফলে তার বক্তব্য নিয়ে পুলিশ ও
উপস্থিত জনসাধারন ও সংবাদকর্মীদের মধ্যে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে আউশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিবুর রহমান হারুন জানান, ওই
মহিলার অসংলগ্ন বক্তব্যে আমরা বিষয়টি নিয়ে ধুম্রজালের মধ্যে পড়েছি।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ-বাহুবলের সার্কেল এ এসপি পারভেজ আলম চৌধুরী বলেন, ওই
গৃহবধুর ভিন্নধর্মী বক্তব্যের জন্য মুল ঘটনাটি উদঘাটন করতে আমাদের বিলম্ভ
হচ্ছে। আমরা নিভীর ভাবে পর্যবেক্ষন করে মুল ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা করছি। রাতের
মধ্যেই মুল ঘটনা উদঘাটন হবে বলে আমরা আশাবাদী। এদিকে এ রিপোর্ট লেখা
পর্যন্ত ভিকটিম ও তার স্বামীকে থানা হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
Leave a Reply